ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিরল-রাধিকাপুর স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন দ্রুত চালুর অনুরোধ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২৩
বিরল-রাধিকাপুর স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন দ্রুত চালুর অনুরোধ

ঢাকা: বিরল-রাধিকাপুর স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা দ্রুত চালু করার অনুরোধ জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে সাক্ষাতে এ অনুরোধ জানান তিনি।

এ সময় তারা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। আশুগঞ্জ নৌবন্দর ও আখাউড়া স্থলবন্দর, পায়রা বন্দর, মোংলা বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল উন্নয়নের বিষয় তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। '

তারা খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর এবং দিনাজপুরের বিরল স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাধিকাপুর স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা চালু করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।  

নৌপ্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, অনেকগুলো স্থলবন্দরে আমাদের ইমিগ্রেশন চালু ছিল। সেগুলো কোভিডের সময় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিছু চালু হয়েছে, কিছু কিছু এখনো হয়নি। এগুলো যেন দ্রুত চালু করা হয়, সে বিষয়ে কথা হয়েছে। করোনার আগে রাধিকাপুর স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা চালু ছিল। দুদেশের যাত্রীদের যাতায়াতে খুব সুবিধা ছিল।

তিনি বলেন, বিশেষ করে বিরল-রাধিকাপুরের কথা আমি বলেছি। কারণ এটি চালু ছিল। এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে কয়েক হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিতে হচ্ছে। এগুলোর বিষয়ে তিনি (প্রণয় ভার্মা) পদক্ষেপ নেবেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের মধ্যে অনেকগুলো কাজ আমরা একসঙ্গে করছি। আশুগঞ্জে এবং মোংলা পোর্টে কাজ হচ্ছে। এর বাইরেও বে-টার্মিনালের বিষয়েও তারা ইন্টারেস্ট দেখিয়েছে। পায়রাতে তাদের সঙ্গে আমাদের কাজ চলছে। সেগুলোর কতটুকু অগ্রগতি, তা আমাদের অবহিত করে গেলেন। এর বাইরে আমাদের যে গোমতী নদী, সেটি খনন করার বিষয়ে তারা অর্থায়নের আগ্রহ দেখিয়েছেন।

তিনি বলেন, এর বাইরেও আমাদের আশুগঞ্জের যে রাস্তা আছে, সেটি আমাদের বাংলাদেশের অর্থায়নে হচ্ছে। পোর্টটি ভারতের অর্থায়নে হচ্ছে। সেখানে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। সেগুলোর বিষয়ে আমাদের কথাবার্তা হয়েছে, যেন এগুলো আমরা দ্রুত করতে পারি।  

তিনি আরও বলেন, আমাদের ক্রুজ সার্ভিসে অনেকের আগ্রহ আছে। বেশ কয়েকটি বেসরকারি অপারেটর আমাদের কাছে আবেদন করেছে। তারা বাংলাদেশ থেকে কলকাতা পর্যন্ত প্যাসেঞ্জার অথবা ট্যুরিস্টরা যায়। ভিসার বিষয়ে আমরা বলেছি। তারা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। কোভিডের সময় আমাদের ক্রুয়েরা ইন্ডিয়া গিয়ে জাহাজ থেকে নামতে পারতো না। বিষয়টি আমরা জানিয়েছি, যেন এটি রিলাক্স করে দেওয়া হয়।

এ সময় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব উন্নয়ন মো. রফিকুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২৩
জিসিজি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।