বান্দরবান: বান্দরবানের জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেছেন, এবারের বন্যায় বান্দরবানে প্রায় ৪৯৮ কোটি ৬৩ লাখ ১৯ হাজার ৪০৬ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে পার্বত্য জেলার সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও উত্তরণের উপায় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান ডিসি।
ডিসি শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, এবারের বন্যায় বান্দরবানের সাতটি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আর বন্যা শুরুর পর পরই জেলা প্রশাসন পুরো জেলায় ২০৭টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করেছিল। আর আশ্রয়কেন্দ্রে ৩০ হাজার ২২০ জন আশ্রয় নিয়েছিলেন। চলতি মাসের ৬-১০ আগস্ট ভয়াবহ বন্যায় বান্দরবানে পাহাড় ধস আর বন্যার পানিতে তলিয়ে ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫৬ জন আর এখনও নিখোঁজ একজন।
ডিসি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০ হাজার ৬৬০টি বাড়ি, ৮৯.২ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন, ৯২টি কালভার্ট, ৬০টি মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা, ৯৩টি ব্রিজ, ১৫৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ আরও অনেক স্থাপনা, সড়ক, জলাধারসহ আরও অনেক কিছু।
শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, এবারের বন্যায় আমাদের নতুন অভিজ্ঞতার সৃষ্টি হয়েছে আর আমরা আগামীতে বান্দরবানে বন্যা মোকাবিলায় বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছি।
মতবিনিময় সভায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল-মামুন, রাজীব কুমার বিশ্বাস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এস এম শাহনেয়াজ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বান্দরবানের নিবার্হী প্রকৌশলী মো. জিয়াউল ইসলাম মজুমদার, বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ আমির হোসেন মাসুম, প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক, সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনুসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক ও জেলা প্রশাসন এবং বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৩
এসআরএস