ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মোবাইল ইন্টারনেটে থাকছে না ৩ ও ১৫ দিনের প্যাকেজ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩
মোবাইল ইন্টারনেটে থাকছে  না  ৩ ও ১৫ দিনের প্যাকেজ

ঢাকা: মোবাইল ইন্টারনেটের প্যাকেজ সম্পর্কিত নির্দেশিকা প্রণয়ন চূড়ান্ত করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। পরিবর্তিত নিয়মে মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য প্যাকেজের সংখ্যা কমিয়ে সর্বোচ্চ ৪০টিতে আনতে যাচ্ছে সংস্থাটি।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, প্যাকেজ সংখ্যা সর্বোচ্চ ৪০ এবং মেয়াদ ৭, ৩০ দিন এবং আনলিমিটেড করা হচ্ছে। তবে ৩ ও ১৫ দিনের প্যাকেজ থাকছে আর না। আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

এই নির্দেশিকা সম্পর্কে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে ইতোমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর বিটিআরসি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্দেশিকা সম্পর্কে সবাইকে জানাবে।  

নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, অপারেটররা তিন ধরনের প্যাকেজ দিতে পারবে। এগুলো হলো- নিয়মিত প্যাকেজ, গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ এবং রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজ।

মোবাইল অপারেটররা বিভিন্ন দিবস, খেলা বা ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কনটেন্ট দেখার জন্য স্পেশাল প্যাকেজ দিয়ে থাকে। যার মেয়াদও নতুন নির্দেশিকায় সাত দিন হবে।

বর্তমানে চার মেয়াদের প্যাকেজ আছে। তবে নতুন করে দুই মেয়াদের প্যাকেজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি আনলিমিটেড প্যাকেজটি থাকছে।

মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো এখন সর্বোচ্চ ৯৫টি প্যাকেজের অফার দিতে পারে। বিটিআরসি ২০২২ সালে এক নির্দেশিকায় এই সংখ্যা নির্ধারণ করে দিয়েছিল। সেখানে ৩, ৭, ১৫ ও ৩০ দিন মেয়াদের প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়।

গ্রাহকদের চাহিদা ও স্বার্থের কথা বিবেচনা করেই নতুন নির্দেশিকা করা হয়েছে জানিয়ে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, নতুন প্যাকেজে দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই।

তবে, ভিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গ্রাহকদের চাহিদা ও সুবিধার কথা মাথায় রেখে প্যাকেজ নির্ধারণ করা উচিত বলে মনে করে দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরদের সগঠন- এমটব।  

এমটব মহাসচিব লে. কর্নেল মোহাম্মদ জুলফিকার (অব.) এক বিবৃতিতে বলেন, মোবাইলের প্যাকেজ ডিজাইন করা হয় বিভিন্ন স্তরের গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখে। কারণ একজন শিক্ষার্থী অথবা একজন নিম্ন আয়ের মানুষের মোবাইল ব্যবহারের প্যাটার্ন আর একজন ব্যবসায়ীর মোবাইল ব্যবহার এক নয়। দেশের নিম্ন আয়ের যে ৪৫ শতাংশ মানুষ এখনো মোবাইলের আওতায় আসেনি তাদের এই সেবার মধ্যে নিয়ে আসতে চাই আমরা- এজন্য তাদের উপযোগী বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ দরকার।

এছাড়াও, প্যাকেজ সংক্রান্ত সর্বশেষ নির্দেশনাটি মাত্র বছর খানেক আগে প্রদান করা হয়েছে। মার্কেটে তার ব্যবহারিক প্রভাব কি তা এখনও পুরোপুরিভাবে পরীক্ষিত নয়। এখন আবার প্যাকেজ সংখ্যা ও তার সময় নিয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হলো। আমরা মনে করি এই পরিবর্তনের প্রভাব পুরো খাতে এবং সরকারের রাজস্ব আহরণেও পড়তে পারে। উপরন্তু সরকার বা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে থেকে যদি সেবা সংক্রান্ত কোন সিদ্ধান্ত আসতেই হয় তাহলে অবশ্যই তা অপারেটরদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মতামতের ভিত্তিতে করাটাই শ্রেয়। আমরা আশা করি সরকার ও বিটিআরসি এই প্রয়োজন অনুধাবন করবে এবং সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে।

বাংলাদেশ সময়:২১৪০ ঘণ্টা,সেপ্টেম্বর ৫,২০২৩ 
এমআইএইচ/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।