ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাদরাসাছাত্রীকে অপহরণ-ধর্ষণের ১৪ বছর পর গ্রেপ্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩
মাদরাসাছাত্রীকে অপহরণ-ধর্ষণের ১৪ বছর পর গ্রেপ্তার

ঢাকা: মাদরাসাছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. মনির হোসেনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।  

১৪ বছর পলাতক থাকার পর বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-২ ও র‍্যাব-১১।

 

বিকেলে র‍্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শিহাব করিম বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  

তিনি জানান, ২০০৯ সালের ৪ জুন বরিশাল নগরীর বাবুগঞ্জ থানা এলাকায় মাদরাসায় যাওয়ার সময় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে মো. মনির হোসেন ও তার কয়েকজন সহযোগী মিলে অপহরণ করে নিয়ে যান। ভুক্তভোগীকে বরিশাল নগরীর একটি বাসায় রেখে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করেন তারা।  

পরদিন ভুক্তভোগীকে নিয়ে মনির ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে নগরীর নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যান। এ সময় মেয়েটির বাবাকে দেখে তিনি পালিয়ে যান। পরে ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে বাবুগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।  

এএসপি শিহাব করিম জানান, মামলা দায়ের পর থেকে আসামি পলাতক ছিলেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ধর্ষণের দায়ে মনিরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড এবং অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড হয়। তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়।  

আসামি মনির হোসেন দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপন করে রয়েছেন, এমন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র‌্যাব-২ এর আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। কারওয়ান বাজারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩
এসজেএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।