ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নির্বাচন সামনে রেখে ‘প্রগতিশীল ইসলামী জোটে’র আত্মপ্রকাশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩
নির্বাচন সামনে রেখে ‘প্রগতিশীল ইসলামী জোটে’র আত্মপ্রকাশ

ঢাকা: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে নতুন এক জোট আত্মপ্রকাশ করেছে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, প্রগতিশীল, ইসলামী ও সমমনা ১৫টি রাজনৈতিক দল নিয়ে জোটটি হচ্ছে ‘প্রগতিশীল ইসলামী জোট’।

বর্তমান সরকারের সমমনা জোটটি আসন্ন নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার জন্য কাজ করছে।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জোটের আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেন প্রগতিশীল ইসলামী জোটের সমন্বয়কারী ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম খান।

এই জোটে ভেড়া রাজনৈতিক দলগুলো হচ্ছে— ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি; নেজামে ইসলাম বাংলাদেশ; বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ; বাংলাদেশ তরীকত ফ্রন্ট; বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টি; বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক লীগ; বাংলাদেশ জনমত পার্টি; বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জনতা দল (বিএনজেপি); ইসলামীক লিবারেল পার্টি; জনতার কথা বলে; বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টি; বাংলাদেশ গণতন্ত্র মানবিক পার্টি; সাধারণ ঐক্য আন্দোলন; বাংলাদেশ ইসলামিক গণতান্ত্রিক লীগ এবং বাংলাদেশ ইসলামীক ডেমোক্রেটিক ফোরাম।

জোটের আত্মপ্রকাশ ঘোষণা করে লিখিত বক্তব্যে ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম খান বলেন, দেশজুড়ে শুরু হয়েছে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি। বিএনপি-জামায়াতসহ কোনও-কোনও দল এই সরকারের অধীনে নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেও বাংলাদেশের জনগণ সেই ডাকে সাড়া দিচ্ছে না।  

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে নানা বিদেশি রাষ্ট্র, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের নির্বাচনের মতো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ শুরু করেছে। যার মধ্য দিয়ে দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নকে নতুন করে হাজির করেছে আমাদের সামনে। অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে— বিদেশি শক্তির তথাকথিত আচরণ দিবালোকের মতো কূটনৈতিক শিষ্ঠাচার ছাড়িয়ে ভিন্নরূপ নিলেও দেশের সচেতন, বিজ্ঞ, পণ্ডিত মানুষেরা দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে দারুণভাবে নীরব ভূমিকা পালন করেছেন।

প্রগতিশীল ইসলামী জোটের সমন্বয়কারী বলেন, আমরা চাই আগামী নির্বাচনে আবারও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপক্ষের শক্তি রাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দেবে। এই লড়াই ও সংগ্রামকে আরও তাৎপর্যমণ্ডিত করতে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার প্রত্যয়ে নতুন রাজনৈতিক জোট 'প্রগতিশীল ইসলামী জোটে'র আত্মপ্রকাশ করছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জোটের চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল বলেন, সারাদেশেই আমাদের জোটের সাংগঠনিক তৎপরতা রয়েছে সকল দলেরই। আমরা ইতিমধ্যেই কার্যক্রম শুরু করেছি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার জন্য।

বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারেরর অধীনে নির্বাচনের প্রসঙ্গে জোটের চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল বলেন, আসলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই ব্যবস্থা কিন্তু এখন সংবিধানে নেই। সংবিধানে যেই জিনিসটা নেই। সেটার অধীনে কিভাবে আবার নির্বাচন হবে সেটা আমার বোধগম্য নয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয় শরিক দলগুলোর চেয়ারম্যানরা কো-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩
ইএসএস/এমএম
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।