কিশোরগঞ্জ: মাদরাসায় যাওয়ার জন্য হিজাব পরছিলেন মাদরাসাছাত্রী সুমাইয়া আক্তার (১৮)। এ সময় হিজাব আটকানোর একটি পিন তিনি দাঁতে ধরেছিলেন।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
পরে ওই শিক্ষার্থীর পেট থেকে অপারেশন ছাড়াই সেই পিন বের করে আনেন ডা. মোহাম্মদ আবিদুর রহমান ভূঞা।
শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার স্থানীয় একটি মাদরাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মুহাম্মাদ আবিদুর রহমান ভূঞা (জিমি) নিজেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি নিজের ফেসবুক পোস্টে লেখেন, মাদরাসাছাত্রী সুমাইয়া, বাড়ি গোবিন্দপুর, হোসেনপুর। তার বয়স ১৮ বছর। মেয়েটি আজ সকালে মাদরাসায় যাওয়ার আগে হিজাব আটকানোর পিন মুখে নিয়ে হিজাব পরছিলেন। হঠাৎ তা দাঁত ফসকে তার গলায় চলে যায় এবং তিনি পিনটি গিলে ফেলেন। সন্ধ্যায় মেয়েটিকে তার মামা চেম্বারে আনেন। আজ আমি সেই পিনটি এন্ডোস্কপি করে ফরেন বডি ফরসেপ দিয়ে বের করে আনি। আলহামদুলিল্লাহ মেয়েটি সুস্থ আছে। হিজাব পরতে গিয়ে কখনো পিন মুখে নেবেন না কেউ।
এ বিষয়ে ডা. মুহাম্মাদ আবিদুর রহমান ভূঞা (জিমি) বলেন, কখনো মুখে পিন নেওয়া যাবে না। বাচ্চারাও অনেক সময় পয়সা খেয়ে ফেলে। মুখে কখনো ধাতব কিছু নেওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে হিজাব পরার সময় পিন মুখে না রাখাই উত্তম হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩
এসএম