বরিশাল: পারিবারিক কলহের জের ধরে পুত্রবধূদের হাতে শাশুড়ি হেরোনা বেগম (৬৩) খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহত ওই নারীর মরদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি তার স্বামী, অভিযুক্ত দুই পুত্রবধূ ও ছেলেকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (০২ অক্টোবর) রাতে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার চর দিয়াশুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হেরোনা জেলার গৌরনদী উপজেলার চর দিয়াশুর গ্রামের হায়দার প্যাদার স্ত্রী।
নিহত ওই নারীর ভাই মনির হোসেন সিকদার অভিযোগ করে বলেন, প্রায়ই তার বোনকে সৌদি প্রবাসী ভাগ্নের স্ত্রী রাখি বেগম, ছোট ভাগ্নে সুমন প্যাদা ও স্ত্রী তুলি বেগম শারীরিকভাবে নির্যাতন করেতেন। গত পাঁচদিন আগেও তাকে মারধর করে পুত্রবধূরা। সোমবার হেরোনা মেয়েরা তাকে দেখতে চর দিয়াশুর এলে পুত্রবধূরা তাকে ও তার মেয়েদের গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে বাবার বাড়ি থেকে রাগ করে চলে যায় হেরোনার মেয়েরা। এ নিয়ে ওইদিন রাতে পুত্রবধূদের সঙ্গে হেরোনার কথা কাটাকাটি হয়। এসময় সীল পাটার পূতো দিয়ে আঘাত করা হলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পরে হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে বাড়ির পাশে একটি বাথরুমে মরদেহ গলায় ফাঁস লাগিয়ে হাঁটু ভাজ করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার (০৩ অক্টোবর) সকালে হেরেনা আত্মহত্যা করেছেন বলে আমার ভাগ্নে (নিহতের ছোট ছেলে) সুমন প্যাদা গৌরনদী মডেল থানা পুলিশে খবর দেন।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করে। একপর্যায়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে পুত্রবধূ রাখি বেগম, তুলি বেগম, ছেলে সুমন প্যাদা ও স্বামী হায়দার প্যাদাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় বলে জানান নিহত ওই নারীর ভাই।
গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারমিন সুলতানা রাখী বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঝুলন্ত অবস্থায় নিহত ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে বিষয়টি হত্যাকাণ্ড বলে মনে হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২৩
এমএস/এফআর