বরিশাল: জেলার নৌ-বন্দরে মাদকসেবীদের মারধরের শিকার মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মামলা করেছেন।
মামলায় নামধারী ৩ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী পরিদর্শক আবদুল মালেক তালুকদার বরিশাল জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ‘খ’ অঞ্চলের পরিদর্শক পদে কর্মরত রয়েছেন।
নামধারী আসামিরা হলো- লঞ্চঘাট এলাকার মজিবর (৪৫), রাকিব (২৬) ও সাব্বির। তাদের বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করা, সরকারি কাজে বাধা দান, আক্রমণ এবং গুরুতর আঘাত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন এসব তথ্য।
মামলার এজাহারে বাদীর অভিযোগ, গত ২ অক্টোবর বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার জাবেদ হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের পর তিন মাদকসেবীকে কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়। এ ঘটনার পর নৌ-বন্দরে যায় পরিদর্শক মালেকসহ তিন সেপাই। তারা গিয়ে মাদক সেবনরত অবস্থায় একজনকে বরিশাল-ঢাকা রুটের এমভি পারাবাত-১২ লঞ্চ থেকে আটক করে। এ ঘটনার পর মাদকসেবীরা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দলটির ওপর হামলা করে। এতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শকসহ তিন সেপাই আহত হন। নৌ-পুলিশসহ স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে সম্প্রতি মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বরিশাল জেলা কার্যালয়ের গুটি কয়েক কর্মকর্তা ও সেপাইদের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রির অভিযোগ ওঠে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর বরিশাল নগরের পলাশপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বরিশাল জেলা কার্যালয়ের এসআই ওবায়েদুল্লাহ খান ও সিপাহি মো. সবুর গাঁজা বিক্রি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়।
পরে তাদের পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহল করা হয়। এরপর থেকেই মাদক দিয়ে ফাঁসানোসহ জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পলাশপুর ও রসুলপুর কলোনির বাসিন্দারা নানান অভিযোগ তুলতে থাকেন। আর তখনই মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বরিশাল জেলা কার্যালয়ের এই কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০২৩
এমএস/এসএএইচ