লক্ষ্মীপুর: বিবদমান জমিতে আদালত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিলেও তা অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালানোর অভিযোগ উঠেছে মো. মাসুদ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
এতে আরেক পক্ষের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
তার অভিযোগ, প্রতিপক্ষের লোকজন প্রভাবশালী ভাড়াটে লোকজনের সহায়তায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঢাকা-রায়পুর মহাসড়কের পাশে পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় ৬৩ নম্বর বাঞ্ছানগর মৌজার ৭১৩ নম্বর খতিয়ানের (পিএস) এসএ জরিপের ৬০৭ নম্বর খতিয়ানভুক্ত ২২৩২ দাগের ১০ শতাংশ জমির ওয়ারিশি সূত্রে মালিক সফি উদ্দিন রেজা মাহমুদ গংদের ওয়ারিশ মো. কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। এ নিয়ে ২০১৩ সালে জেলা যুগ্ম জজ-প্রথম আদালতে তাজুল ইসলাম গংদের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা করেন সফি উদ্দিন রেজা মাহমুদ। (মামলা নম্বর-৬৭/২০১৩)।
এদিকে তাজুল ইসলামের ওয়ারিশদের কাছ থেকে বিবদমান জমি কিনে সেখানে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেন পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের মো. মাসুদ। এতে বাদী পক্ষের সঙ্গে তার বিরোধ দেখা দেয়। বাদী পক্ষ গত ৪ সেপ্টেম্বর ওই জমিতে স্থাপনা নির্মাণ, মাটি কাটা এবং ভূমির আকার পরিবর্তনের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন।
আদালত ওই জমিতে উভয়পক্ষের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু নির্দেশনা মানছেনা বিবাদী পক্ষ। ওই পক্ষের মাসুদ আলম গত ৪ সেপ্টেম্বর ওই জমিতে বাড়ির কাজ শুরু করেন। এতে বাদী পক্ষ বাধা দিলে বিবাদী পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়। এছাড়া বিবাদীরা স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজনকে ভাড়া করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে গত ১২ অক্টোবর ভুক্তভোগী কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া বাদী হয়ে মো. মাসুদ, সুমন পাটওয়ারী, আবুল খায়ের, শাহাব উদ্দিন, আলম ওরফে কসাই আলম, আবদুর রহমান মোহন, লোকমান হোসেনকে বিবাদী করে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
বাদী কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, জমির মালিকানা বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আদালত উভয়পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু বিবাদীরা আদালতের নির্দেশনা মানছেন না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. মাসুদ ক্রয় সূত্রে জমিটির মালিকানা দাবি করে বলেন, আমাদের জমিতে আমরা বাড়ি বানাচ্ছি। আমাদের মালিকানার কাগজপত্র আছে। কিন্তু বাদী পক্ষ অহেতুক আমাদের হয়রানি করছে।
আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আমাদের কাজ বন্ধ রাখা যায় না। এর আগেও ১৪৪ ধারা ছিল, সেটিও খারিজ হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম বলেন, অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিবাদীদের কাজ বন্ধ রাখতে বলি। কিন্তু বিবাদীরা আমাদের কথা শুনছেন না। তারা কাজ চালু রেখেছেন। বাদী পক্ষকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৩
এসআই