যশোর: মণিরামপুর উপজেলায় স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি উদয় শংকরকে (৪৬) হত্যা ঘটনার ১৪ ঘণ্টা পার না হতেই আরেক খুনের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে উদয়কে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
নিহত রিপন হোসেন শহরের খড়কি গোরস্থান এলাকার বুড়োর ছেলে। তার ভাই ভুট্ট হোসেন হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভুট্ট বলেন, আমরা খবর পাই জেলা স্কুলের সামনে আমার ছোট ভাই রিপনকে ৫-৭ জন যুবক এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে। ঘটনাটি জানতে পেরে আমরা হাসপাতালে ছুটে আসি। রিপনকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেছেন। রিপন লেদের দোকানে কাজ করতো। গত কয়েকদিন ধরে কয়েক যুবকের সঙ্গে তার ঝামেলা চলছিল।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. হাসিব মোহাম্মদ আলী হাসান বলেন, ধারালো চাকুর আঘাতের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রিপনের মৃত্যু হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) একেএম শফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, কে বা কারা রিপনকে হত্যা করেছে এ বিষয় নিশ্চিত হতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জড়িতদের আটকে অভিযান অব্যাহত আছে।
এর আগে সকালে মণিরামপুর উপজেলায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন নেহালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি উদয় শংকর। সকালে উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের পাঁচাকড়ি গ্রামের বৈকালী সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত উদয় শংকর পাঁচাকড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নেহালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাছাড়া নেহালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রভাষক হিসেবে চাকরি করতেন; স্থানীয় পাঁচাকড়ি টেকারঘাট বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব ছিলেন তিনি। নিহতের বাবার নাম রণজিৎ বিশ্বাস (মৃত)।
স্থানীয়রা জানায়, নেহালপুরের টেকারঘাটে বাজার করতে এসেছিলেন উদয়। বাজার করে মোটর সাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে বৈকালী সড়কে পেছন দিক থেকে তাকে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তিনি মারাত্মক আহত হন। পরে তাকে স্থানীয়রা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসকরা উদয়কে পরীক্ষার পর মৃত ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৩
ইউজি/এমজে