হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে রোহিঙ্গাদের নামে পাসপোর্ট ইস্যু করা হয় সেখানকার কর্মচারী এবং দালাল চক্রের সমন্বয়ে। দাগী আসামিরও পাসপোর্ট তৈরি করে চক্রটি।
এ তথ্য মিলেছে জাল কাগজপত্র দিয়ে পাসপোর্টের আবেদন করা রোহিঙ্গা তরুণীসহ গ্রেপ্তার ‘দালাল’ মো. আমিনুর রশিদ মাহির নিকট থেকে ।
মাহি সোমবার (২৩ অক্টোবর) হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য দেন।
এর আগে রোববার হবিগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে জাল কাগজপত্র দিয়ে পাসপোর্টের আবেদন করায় রোহিঙ্গা তরুণী রুজিনা আক্তার (১৮) ও হবিগঞ্জ শহরের বাসিন্দা মাহীকে (২৬) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে মামলা দিয়ে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মমিনুল ইসলাম জানান, মাহী জবানবন্দিতে যে তথ্য দিয়েছেন তা যাছাই-বাছাই করা হচ্ছে। ওই তরুণ-তরুণীকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করবে পুলিশ।
হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. বজলুর রহমান জানান, রোজিনা জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের বাসিন্দা পরিচয়ে পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন। এ কাজে ‘দালাল’ হিসেবে কাজ করেন মাহী।
রোববার রোজিনা পাসপোর্ট অফিসে এলে সন্দেহ হয়। পরে থানায় খবর পাঠালে পুলিশ সেখানে আসে এবং সবার সামনে রোজিনা স্বীকার করেন, তিনি রোহিঙ্গা ও পরিচয় বদল করে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন। তখনই পুলিশ দুজনকে আটক করে।
আপডেট: ০৮৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৩
এমএম