ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দুগ্ধজাত পণ্যের মান নিশ্চিত করতে বিল পাস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২৩
দুগ্ধজাত পণ্যের মান নিশ্চিত করতে বিল পাস

ঢাকা: দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি, মান নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণে বোর্ড প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড বিল–২০২৩ পাস হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য হিসাবে দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্যের মান নিশ্চিত করতে বিলটি পাস করা হয়।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বিলটি পাসের জন্য সংসদে প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়।

বিলে বলা হয়েছে, এই আইন পাস ও কার্যকর হওয়ার পর সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড নামে একটটি বোর্ড গঠন করবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এই বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন। নিরাপদ খাদ্য হিসেবে দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্যের শ্রেণিভিত্তিক মান নির্ধারণ, মান যাচাইয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ, পরীক্ষা, পরিদর্শন এবং মান নিয়ন্ত্রণ বা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতে পারবে এই বোর্ড।

এ ছাড়া বিলটিতে বলা হয়, বাণিজ্যিকভাবে ডেইরি খামার স্থাপন, উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ খাদ্য হিসেবা দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণও দেবে এই ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড।

বিলটি পাসের সময় যাচাই বাছাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদসস্য রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, এখন বাজারে যে দুধ বিক্রি হয় তাতে ভেজাল, সিসা পাওয়া যায়। সিসা খেলে মানুষের শরীরে বিষয়ক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা আছে। মিল্কভিটার মতো প্রতিষ্ঠানের দুধেও ভেজাল আছে। মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়গুলো দেখতে হবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে।

জাতীয় পার্টির আরেক জন সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, দুধে সিসা ও অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান পাওয়া যায়। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। দুধে এসব উপাদান আছে কি না, তা সরকারিভাবে মনিটর করা দরকার।

এর পর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলের দলের সদস্যদের বক্তব্যের বিষয়ে কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এই বিষয়গুলো সংসদ সদস্যরা তুলে ধরার জন্য মন্ত্রী তাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা যে উৎকণ্ঠার কথা বলেছেন, তা দূর করতেই এই বিল পাসের মাধ্যমে আইন করা হচ্ছে। সেই উদ্দেশ্যেই বিলটি আনা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২৩
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।