ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ক্ষতিগ্রস্ত খাজা টাওয়ার এখন পুলিশের তত্ত্বাবধানে 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৩
ক্ষতিগ্রস্ত খাজা টাওয়ার এখন পুলিশের তত্ত্বাবধানে 

ঢাকা: আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত রাজধানীর মহাখালীর খাজা টাওয়ার পুলিশের তত্ত্বাবধানে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ভবনের সামনে ভিড় করছেন।

তবে কাওকে ভবনের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।  

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে বনানী থানা পুলিশ সদস্যরা ভবনের সামনে ও পেছনে অবস্থান নিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সরঞ্জামের নিরাপত্তার স্বার্থে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।  

আগুনে ভবনের সামনে অংশে (সড়ক পাশে) থাকা কাচ অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণভাবে রয়েছে। কিছু ভাঙা কাচের জানালা বাতাসে দোল খাচ্ছে। যেকোনো সময় উপর থেকে নিচে পড়তে পারে।  

ভবনের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েছে বনানী থানা পুলিশে একটি টিম। ভেতরে রয়েছে ভবন মালিক পক্ষের সিকিউরিটি গার্ডরা।

ভবনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তৌকির আহমেদ জানান, ভবনটির বিভিন্ন ফ্লোরে বিভিন্ন অফিস রয়েছে, অনেক অফিসের মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলোর নিরাপত্তার জন্য ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ভেতরে অবস্থান এখনও অনিরাপদ। সব ঠিক হলে আমরা ভবনের অফিসের জন্য নেওয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ঢুকতে দেব।

সকাল ১০ টার দিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান শিকদার বাংলানিউজকে জানান, মহাখালীর খাজা টাওয়ারের আগুন সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে সম্পূর্ণরূপে নির্বাপণ হয়েছে।

আগুন কেড়ে নিল তিনটি তাজা প্রাণ

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, মহাখালীর খাজা টাওয়ারে আগুনের ঘটনায়  আতঙ্কে একটি তার ধরে গ্রিল টপকে নিচে নামার সময় তার ছিঁড়ে পড়ে মারা যান হাসনা হেনা (২৭) নামে এক নারী। তিনি জানান, নিহত ওই নারী ভবনের নয়তলায় একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। তার বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে।

খাজা টাওয়ারের ১১তলা থেকে আকলিমা নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। আর  ১৩তলা থেকে রফিকুল ইসলামকে (৬২) উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি রাজধানীর মিরপুর খাজা শাহ আলীবাগ এলাকায় থাকতেন। ওই ভবনে একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে ওই ভবনে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে চেষ্টা চালিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এরপর শুক্রবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে ভবনের আগুন সম্পূর্ণভাবে নির্বাপণ করা হয়। এই আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই নারী ও এক পুরুষসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৩
এসজেএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।