ঢাকা: জেল ও জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বিল পাস হয়েছে। এতে অপরাধের শাস্তি সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল এবং পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার কথা বলা হয়েছে।
রোববার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বিল-২০২৩ নামে বিলটি পাসের জন্য প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠ ভোটে পাস হয়।
এর আগে বিলটির ওপর আনা বিরোধীদলের সদস্যদের যাচাই-বাছাই ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়। এ সময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
সংসদে পাস হওয়া এ বিলের ১৩ ধারায় অপরাধ ও দণ্ডের কথা বলা হয়েছে।
আইন অমান্য করলে এই বিলের উপধারা এক এ বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি সার্টিফিকেশন ছাড়া বা বোর্ডের দেওয়া মূল্যায়ন প্রতীক পরিদৃষ্ট হয় না, এমন কোনো চলচ্চিত্র কোনো স্থানে প্রদর্শন করেন বা প্রদর্শনে প্ররোচনা বা সহায়তা দেন, তাহলে এটা হবে একটি অপরাধ এবং এজন্য তিনি অনধিক পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।
ওই বিলে আরও বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি কোনো চলচ্চিত্রের সার্টিফিকেশন প্রাপ্তির পর, বোর্ড কর্তৃক, প্রদত্ত প্রতীকের কোনো পরিবর্তন ঘটান বা টেম্পারিং করেন বা অনুমোদনবিহীন প্রচার সামগ্রীর মাধ্যমে প্রচারকার্য পরিচালনা করেন বা প্রচারের উদ্দেশ্যে অনুমোদনবিহীন প্রচার সামগ্রী মুদ্রণ, মজুতকরণ ও বাজারজাত করেন, তাহলে এটা হবে একটি অপরাধ এবং এজন্য তিনি অনধিক দুই বছরের কারাদণ্ডে বা অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।
পাস হওয়া ওই বিলে বলা হয়েছে, কোম্পানি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন। যেক্ষেত্রে এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির অধীন কোনো অপরাধী কোনো কোম্পানি বা অন্য কোনো সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা অন্য কোনো ফার্ম হয় সেক্ষেত্রে এর কার্যক্রম পরিচালনার সহিত সম্পৃক্ত প্রত্যেক পরিচালক, অংশীদার, ব্যবস্থাপক, সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা প্রতিনিধি ওই অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করতে পারেন যে, অপরাধটি তার জ্ঞাতসারে বা সম্মতিক্রমে হয়নি বা এটা রোধের জন্য তিনি সাধ্যমত চেষ্টা করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৩
এসকে/এএটি