ঢাকা: ১০ এপ্রিলকে প্রজাতন্ত্র দিবস ঘোষণাসহ তিন দফা দাবিতে গণভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। দাবিগুলোর বিষয়ে সদুত্তর না পাওয়া পর্যন্ত তিনি অবস্থান করবেন বলেও জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) বিকেলে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে গণভবন অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন তিনি। পদযাত্রায় সোহেল তাজের সঙ্গে আরও অংশ নিয়েছেন তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে শারমিন আহমেদসহ প্রহরী-৭১ নামে সংগঠনের কর্মীরা।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী জাতীয় ৪ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মুনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই কলঙ্কিত দিনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দফা দাবি আদায়ে সোহেল তাজের লক্ষ্য।
সোহেল তাজের দাবিগুলো হলো— ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হওয়ায় ওই দিনকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করা; ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা এবং জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা।
সাংবাদিকদের সোহেল তাজ বলেন, আমরা একটি সুন্দর সোনার বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। যেখানে সবার সমান অধিকার থাকবে, ন্যায়বিচার থাকবে, মেধাভিত্তিক সমাজ হবে, দুর্নীতি থাকবে না, সবার শিক্ষা-স্বাস্থ্যের অধিকার থাকবে। এমন একটি দেশের জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। আমরা যদি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে না পারি তাহলে আমাদের দেশ আরও ভয়াবহ পরিণতির সম্মুখীন হবে।
দাবিগুলো কেন মানা হচ্ছে না প্রশ্ন রেখে ক্ষোভ জানিয়ে সোহেল তাজ বলেন, আমি দুই বছর ধরে এই দাবি করছি। আমি জানতে চাই, এটা কেন করা হচ্ছে না? আমাকে উত্তর দিতে হবে। যদি উত্তর ন্যায়সংগত, যুক্তিসংগত হয় তাহলে আমি মেনে নেব। কিন্তু আমাকে বলতে হবে কেন দাবিগুলো মানা হচ্ছে না।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল পদযাত্রা করে একই দাবিতে গণভবনে গিয়ে তিনি স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২৩
এমজেএফ/এমজেএফ