ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনায় নিবন্ধিত সমিতি ২ হাজার ৭৪৫

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২৩
খুলনায় নিবন্ধিত সমিতি ২ হাজার ৭৪৫

খুলনা: খুলনা জেলায় বর্তমানে নিবন্ধিত সমিতির প্রাথমিক সংখ্যা দুই হাজার সাতশত ৪৫টি এবং কেন্দ্রীয় সমিতি ২৬টি। সমিতির সদস্য সংখ্যা এক লাখ ৯১ হাজার ছয়শ ২৩ জন।

এবছর সরকারি রাজস্ব আদায় ২৮ লাখ ১৪ হাজার নয়শ ৪০ টাকা এবং সমবায় উন্নয়ন তহবিল আদায় ২৬ লাখ ২১ হাজার নয়শ ৫৪ টাকা।

শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

সমাবেশ, বর্ণাঢ্য র‌্যালি, জাতীয় পতাকা ও সমবায় পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে খুলনায় দিবসটি পালন করা হয়। বিবসটিতে এবারের প্রতিপাদ্য ‘সমবায়ে গড়ছি দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’।

আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. তবিবুর রহমান, মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. তাজুল ইসলাম এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম। খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পুলক কুমার মণ্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান জেলা সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ নাজমুল হোসেন।

প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের যুগ্ম নিবন্ধক মো. মিজানুর রহমান।

অনুষ্ঠানে জেলা সমবায় কর্মকর্তা সৈয়দ জসীম উদ্দিন, জেলা সমবায় ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান ও নগর উন্নয়ন মহিলা সমবায় সমিতির সভাপতি সাবরিনা পারভীন বক্তৃতা করেন। খুলনা সমবায় বিভাগ ও জেলা সমবায় ইউনিয়ন যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, সমবায় হলো সমবেত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমাজ উন্নয়ন। সুখী-সমৃদ্ধ জীবন যাপনের জন্য সমবায়ের কোনো বিকল্প নেই। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্বনির্ভর দেশ গড়ার লক্ষ্যে সমবায় সমিতিগুলো অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। সমবায় সমিতিগুলো শেয়ার ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।

তারা আরও বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিটি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে সমবায়ভিত্তিতে পরিচালনার ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় দারিদ্র্যেরহার কমাতে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে সমবায় সংগঠনগুলো।

বাংলাদেশকে সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সমবায় কার্যক্রমকে আরও গতিশীল, সক্রিয় ও যুগোপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান অতিথিরা।

অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, আশ্রয়ণ প্রকল্পের পুনর্বাসিত সদস্যদের মাঝে ঋণ দেওয়া হয়েছে দুই কোটি ৬৫ লাখ সাত হাজার টাকা। ডুমুরিয়া ও পাইকগাছা উপজেলায় দুইটি দুগ্ধ সম্প্রসারণ প্রকল্পের প্রত্যেক সদস্যকে এক লাখ টাকার করে সুদবিহীন ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। খুলনা জেলার সমবায় সমিতির বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১ হাজার নয়শ ৩১ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ আটটি সমবায় সমিতি ও দুইটি শ্রেষ্ঠ সমবায় সংগঠকের মাঝে সম্মাননা ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। একইস্থানে খুলনা জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর ভাবনা সংবিধানের বর্ণনা’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে জাতীয় সমবায় দিবস এবং জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে খুলনা রেলস্টেশন চত্বর থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিতে সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, সমবায় সমিতি, সমবায় সংগঠকের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০২৩
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।