ঢাকা: বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি আরিফুল ইসলাম ও ঢাবি শাখার সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক সৌভিক করিমের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ইস্কাটন টিএমসি মার্কেটের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ডের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি প্রবীর সাহা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ যুব ফেডারেশনের আহ্বায়ক উৎসব মোসাদ্দেক, ঢাবি ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি আবু রায়হান খান, ঢাকা নগর ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি অনুপম রায় রূপক, ঢাবি ছাত্র ফেডারেশনের আহ্বায়ক আরমানুল হকসহ অন্যান্য নেতারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আরিফুল ইসলাম ও সৌভিক করিম সমাজের সবার মঙ্গলের জন্য চিন্তা করতেন এবং সে কাজে নিবেদিত ছিলেন। আরিফুল ছিলেন ছাত্র রাজনীতির এক উজ্জ্বল নাম। তিনি গণতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সব চেষ্টা তার রাজনৈতিক জীবনের শুরুতেই করেছেন। ছাত্র রাজনীতি শেষ করে তিনি গণসংহতি আন্দোলনে যুক্ত হন এবং দেশের গণমানুষের রাজনীতি, গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এর পাশাপাশি তিনি মননশীলতার চর্চায় ভূমিকা রাখতে প্রকৃতি-পরিচয় প্রকাশনা এবং ইউপিএলে যুক্ত হয়ে জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ নির্মাণে ভূমিকা রেখেছেন।
এছাড়া সৌভিক করিম ছাত্রজীবন শেষ করে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হন। পাশাপাশি তার সংগীত চর্চা ও লেখালেখি অব্যাহত রাখেন। তরুণ বয়সেই তিনি দেশের সংগীত চর্চায় তার উজ্জ্বল অবদান রেখে গেছেন। তার রচিত গান বাংলা সিনেমার সর্বকালের সেরা ১০০টি গানের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে মশিউর রহমান খান রিচার্ড বলেন, বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনা প্রতি বছর হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। ২০১৮ সালে এ দেশের কিশোররা নিরাপদ সড়কের দাবিতে গণআন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। আরিফুল ইসলাম সেই আন্দোলনেও যুক্ত হয়েছিলেন। আমাদের অগ্রজ আরিফুল ইসলাম ও সৌভিক করিম তাদের জীবনের পুরোটা সময় এ দেশের মানুষের জীবনকে নিরাপদ করার সংগ্রাম করে গেছেন। তাদের উত্তরসূরি হিসেবে আমাদের লড়াই চালিয়ে যাবো।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৩
এফআর