ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জাতিসংঘের তিন বিশেষজ্ঞের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশ

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২৩
জাতিসংঘের তিন বিশেষজ্ঞের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশ

ঢাকা: জাতিসংঘের ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউয়ের (ইউপিআর) পর মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সংস্থাটির তিন বিশেষজ্ঞের দেওয়া বিবৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রতিক্রিয়ায় এ প্রশ্ন তোলা হয়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার আশা করে, জাতিসংঘের এই তিন স্পেশাল র‍্যাপোর্টিয়ার (এসআর) আচরণবিধি অনুযায়ী তাদের ম্যান্ডেট পালনে ‘নিরপেক্ষ এবং উদ্দেশ্যমূলক’ থাকবে। দুঃখের বিষয়, এসআরদের ক্ষেত্রে এটি ঘটেনি। তারা এমন এক ধরনের নেতিবাচক পর্যবেক্ষণ নিয়ে এসেছেন যে, বাংলাদেশ সরকারের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টাকে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করা হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া আরও বলা হয়, চলতি নভেম্বর মাসে ইউপিআর ওয়ার্কিং গ্রুপের সদ্য সমাপ্ত অধিবেশনে ১৪টি  দেশের ইউপিআর পর্যবেক্ষণ করা হয়। এটি লক্ষ্যণীয় যে, বিশেষজ্ঞরা শুধু বাংলাদেশের ওপর একটি বিবৃতি জারি করেছেন, যেখানে তারা বাংলাদেশের অসংখ্য উন্নতির বিষয়ে নীরব। অথচ ইউপিআর রিভিউতে অংশগ্রহণকারী   সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধি বাংলাদেশের বিষয়ে  প্রশংসা করেছে। এটি করে তারা বিশেষজ্ঞ হিসেবে তাদের জাতিসংঘের পরিচয়পত্রকে অসম্মান করেছে। তারা তাদের ব্যক্তিগত এবং পক্ষপাতদুষ্ট মতামত প্রচারের জন্য মানবাধিকার হাইকমিশনারের অফিসের মিডিয়া সেন্টারের অপব্যবহার করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর জাতিসংঘের তিন বিশেষজ্ঞ আইরিন খান, ক্লেমেন্ট ভল এবং মেরি ললোর, ওএইচসিএইচআর দ্বারা প্রকাশিত এক বিবৃতি জারি করে। এই বিবৃতিতে তারা বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতিকে অবনতিশীল হিসেবে অভিহিত করেন এবং জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনাকে সুযোগ হিসেবে নিতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানান।

জাতিসংঘের তিন বিশেষজ্ঞ ন্যূনতম মজুরির দাবি করা কর্মীদের এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করা রাজনৈতিক কর্মীদের ব্যাপকহারে গ্রেপ্তারের অভিযোগ করেন। এছাড়া বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, নাগরিক সমাজের নেতাদের হয়রানি এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করে এমন আইন সংস্কার করতে না পারার ব্যর্থতায় উদ্বেগ জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২৩
টিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।