মাদারীপুর: মাদারীপুর জেলার কালকিনিতে মাদরাসার চার ছাত্রকে বেত্রাঘাত করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের খাসেরহাট এলাকার নূরানীয়া হাফিজিয়া এতিমখানা মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থীরা হলো, আবির হোসেন, সাব্বির আহম্মেদ, সাইম প্যাদা ও জোবায়ের। তারা সবাই একই গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) কালকিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশ্রাফুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- কালকিনি উপজেলা আইসিটি অফিসার আরিফুল ইসলাম ও কালকিনি উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার মো. হাবিব উল্লাহ।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদরাসার ছাদে ছাত্ররা খেলা করার সময় একটি হনুমান আসে ছাদের ওপর। এ সময় ছাত্ররা হনুমানকে বেশ কিছু ঢিল ছুড়ে মারে। এ ঢিল ছুড়ে মারাকে কেন্দ্র করে মাদরাসার প্রধান হুজুরের কাছে বিচার দিলে হুজুর তাদের বকাঝকা দিয়ে আসরের নামাজ পড়তে চলে যান। এর পর মাদরাসার শ্রেণি শিক্ষক হাফেজ তোফায়েল আহম্মেদ শিক্ষার্থী আবির হোসেন, সাব্বির আহম্মেদ, সাইম প্যাদা ও জোবায়েরকে বেত দিয়ে বেদম পিটিয়ে আহত করেন। আহতরা চিৎকার করলে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাথি ও কিল ঘুষিও মারেন বলে জানা গেছে।
এতে সাইম প্যাদার হাতে জখম হয় ও আবির হোসেনের বাম হাতের আঙুল ভেঙ্গে যায়। তারা উভয় প্রথম জামাতের ছাত্র।
খবর পেয়ে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাস ও কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান ঘটনাস্থলে যান। এবং ঘটনাস্থলে থাকা উত্তেজিত জনতার সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
ইউএনও উত্তম কুমার দাস জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের ও তাদের বাবা মায়ের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। এ বিষয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২৩
এসএম