ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাগেরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কেটে দিল প্রতিপক্ষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২৩
বাগেরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কেটে দিল প্রতিপক্ষ

বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে তৌহিদুল ইসলাম (৪২) নামে এক যুবলীগ কর্মীকে পিটিয়ে হাত-পা ভাঙাসহ পায়ের রগ কেটে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন।  

মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বৌ বাজার এলাকায় এ মারধরের ঘটনা ঘটে।

 

পরে রাত ৩টার দিকে স্বজনরা তৌহিদুলকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

আহত তৌহিদুল ইসলাম রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের কামলা গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে। তিনি বিদ্যুৎ বিভাগের ঠিকাদারি কাজ করেন।
এদিকে এ ঘটনার জেরে বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে কামলা বাজার এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে দু'দফায়  ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আহত তৌহিদুলের বাবা আামির হোসেন বলেন, গতকাল রাতে সাবেক ইউপি সদস্য শাহজাহানের নেতৃত্বে রফিক, হাসিব, আক্কাস ও আরও  দুইজন ভাড়াটে সন্ত্রাসী আমার ছেলের ওপর হামলা করে। আমার ছেলে রফিক, হাসিব ও আক্কাসকে চিনতে পেরেছে বলে আমাদের জানিয়েছে। তৌহিদুলের হাত-পা ভেঙে দিয়েছে এবং ডান পায়ের রগ কেটে দিয়েছে তারা।  আমার ছেলের সঙ্গে কারও কোনো দ্বন্দ্ব নেই।  কিন্তু মেম্বার নির্বাচনের সময় সাবেক ইউপি সদস্য শাহজাহানের নির্বাচন না করে মো. আসলাম শিকদার ছিন্টুর নির্বাচন করেছিল। যার কারণে শাহজাহান তার ওপর খুবই ক্ষিপ্ত ছিল।  

এছাড়া সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের নির্বাচনী কাজ করার কারণেও শাহজাহান ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত ছিল।

তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, আমার স্বামীর অবস্থা খুবই খারাপ। যারা আমার স্বামীর ওপর হামলা করেছে আমি তাদের বিচার চাই।

ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আলীম বলেন, এলাকায় দলের কর্মীদের মধ্যে গ্রুপিং রয়েছে। দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে তৌহিদুল ইসলামের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগের একজন সক্রীয় কর্মী। তবে কারা কেন হামলা করেছে এ বিষয়ে কিছু বলেননি এই জনপ্রতিনিধি।

মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মো. শাহজাহান হাওলাদার বলেন, আহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া  হবে। এছাড়া মারধরের শিকার ব্যক্তি অনেক বেশি অসুস্থ হওয়ায় সব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।