ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতিটি ওয়ার্ডে শৌচাগার নির্মাণ করা হবে: মেয়র তাপস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২৩
প্রতিটি ওয়ার্ডে শৌচাগার নির্মাণ করা হবে: মেয়র তাপস

ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে যাতে একটি শৌচাগার নির্মাণ করা যায় সেটির ব্যবস্থা আমরা করছি। পরবর্তীতে তা আরও বাড়ানো হবে।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে বংশাল নয়াবাজার গণশৌচাগার নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র তাপস বলেন, সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রমে শৌচাগার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আমরা এলাকার মানুষ এবং যারা দূরদূরান্ত থেকে এখানে আসেন তাদের কথা চিন্তা করে এই শৌচাগারটি নির্মাণ করেছি। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনবহুল এলাকাগুলো চিহ্নিত করেছি এবং সেখানে আমরা শৌচাগার নির্মাণ করার প্রকল্প হাতে নিয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা এটাসহ নতুন করে ছয়টি ওয়ার্ডে শৌচাগার নির্মাণ করেছি এবং অন্যান্য ওয়ার্ডগুলোতে আমাদের কার্যক্রম চলছে।

নতুন ছয়টি শৌচাগার কোথায় কোথায় নির্মাণ করা হয়েছে গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ৫০ নাম্বার ওয়ার্ড যাত্রাবাড়ি, মগবাজার উড়াল সেতুর নিচে, ১৯ নাম্বার ওয়ার্ডসহ ছয়টি শৌচাগার উদ্বোধন করেছি এবং আরও পাঁচটি চলমান আছে। অন্যান্য ওয়ার্ডগুলোতে শৌচাগার নির্মাণ করার জন্য আমরা জায়গা খুঁজছি। দক্ষিণে আসার পর থেকে মোট ৩৬টি শৌচাগার চালু করেছি। অনেকগুলো দখল অবস্থায় ছিল, সেগুলো দখলমুক্ত করেছি। যেগুলো যত্রতত্রভাবে পড়ে ছিল সেগুলোকে নতুন করে চালু করেছি।

নগরের ভ্রাম্রমাণ শৌচাগারগুলো সরিয়ে ফেলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মেয়র বলেন, ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার তেমন ভালোভাবে সেবা নিশ্চিত করতে পারেনি। এ জন্য আমরা ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার বাদ দিয়ে নির্দিষ্ট স্থায়ীভাবে শৌচাগার নির্মাণ করার কার্যক্রম চালু রেখেছি।

ফুটওভার ব্রিজগুলোর ওপরের অংশে সাইনবোর্ডে ঢেকে থাকায় তৈরি হচ্ছে ভুতুড়ে পরিবেশ। এছাড়া এমন অবস্থায় বাড়ছে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য। এ বিষয়ে মেয়র বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো হলো হানিফ উড়াল সেতু। সেটার দৈর্ঘ্য প্রায় ১১ কিলোমিটার। এই সেতু নির্মাণ করার পর থেকেই বিভিন্ন মহল সেটা দখল করে ফেলেছে।

আমরা সেটাকে আট ভাগে ভাগ করেছি এবং আমাদের পরামর্শকরা কাজ করছেন। সেখানে পথচারীর পারাপারসহ পারিপার্শ্বিক এলাকাবাসীর কি প্রয়োজন আছে এগুলো বিবেচনা করে আমরা সে জায়গায় চাহিদা পূরণ করবো ও সৌন্দর্য বর্ধন করবো। সেই সঙ্গে সাইনবোর্ড, পোস্টারগুলো স্থায়ীভাবে অপসারণ করা হবে।

খাল পরিষ্কার করার বিষয়ে মেয়র বলেন, যে-সব খালগুলো অপরিষ্কার আছে বর্ষা মৌসুমের আগেই সেগুলোকে স্থায়ীভাবে পরিষ্কার করে ফেলা হবে।

এ সময় ডিএসসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আরও অনেকে সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২৩
এইচএমএস/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।