ঢাকা: লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের দারনা শহরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১১৩ জন ও বেনগাজীর গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ২৭ জন বাংলাদেশিসহ সর্বমোট ১৪০ জন অভিবাসীকে দেশে ফেরত আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় তাদের দেশে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল ও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের সহযোগিতার জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এ লক্ষ্যে দূতাবাসের টিম একাধিকবার দারনা শহর সফর করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন। এছাড়া দূতাবাসের পক্ষ থেকে দারনা ও আল-বাইদা শহরে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদেরকে জরুরি ওষুধ, ত্রাণসামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। তবে দারনা শহরে বন্যা কবলিত প্রবাসীদের পাসপোর্টসহ বৈধ কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তাদের দেশে প্রত্যাবাসনে কিছুটা বিলম্ব হয়।
প্রত্যাবাসনকৃত অসহায় এসব বাংলাদেশি নাগরিককে বিমানবন্দরে অবতরণের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) কর্মকর্তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় আইওএম এর পক্ষ থেকে প্রত্যাবাসনকৃত প্রত্যেককে পকেট মানি হিসেবে ৫ হাজার ৯১৯ টাকা এবং কিছু খাদ্যসামগ্রী উপহার দেওয়া হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কল্যাণ) মোস্তফা জামিল খান বিমানবন্দরে ফিরে আসা অভিবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বেনগাজীর গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটক অভিবাসীদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর লিবিয়ায় তাদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা প্রতিবেশী ও আত্মীয় পরিজনদের সাথে আলোচনা করার পরামর্শ দেন। অবৈধ উপায়ে টাকা খরচ করে কিংবা দালালের খপ্পরে পড়ে বিদেশের উদ্দেশ্যে আর কেউ যাতে যাত্রা না করে সে বিষয়ে পরিচিতদের সচেতন করতে অভিবাসীদের অনুরোধ জানান পরিচালক (কল্যাণ)।
উল্লেখ্য, লিবিয়ায় বিপদগ্রস্তসহ বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে দেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে ত্রিপলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইওএম এক সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করছে। ২০২৩ সালের জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত ত্রিপলি ও বেনগাজীর ডিটেনশন সেন্টারে আটকসহ বিপদগ্রস্ত মোট ৯৭৫ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। খুব শীঘ্রই অনিয়মিত সব বাংলাদেশি নাগরিককে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৩
টিআর/এফআর