ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খালে অবৈধভাবে মাছ চাষ বন্ধে অভিযান চলবে: আতিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
খালে অবৈধভাবে মাছ চাষ বন্ধে অভিযান চলবে: আতিক

ঢাকা: খাল দখল করে যা খুশি তাই করা যাবে না। জনগণের খাল ব্যবহার করে মাছ চাষ করা যাবে না।

এটি বন্ধে অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলশানের ডিএনসিসির সদর দপ্তর নগর ভবনের কনফারেন্স রুমে ডিএনসিসির আওতাধীন খালসমূহের সীমানা নির্ধারণ, পরিবেশ উন্নয়ন এবং সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র আতিক বলেন, আমি কিছুদিন আগে সূতিভোলা খাল পরিদর্শনে গিয়ে নৌকায় চড়ে অল্পদূর যেতেই দেখি খালের ভেতর বাঁশ দিয়ে বেড়া তৈরি করে অবৈধভাবে মাছ চাষ করছে। আমি নৌকা নিয়ে বেশিদূর যেতে পারিনি। এভাবে খাল দখল করে যা খুশি তাই করা যাবে না। খালের সীমানা ছেড়ে মাছ চাষ করতে। জনগণের খাল ব্যবহার করে মাছ চাষ করা যাবে না। খালে অবৈধভাবে এসব মাছ চাষ বন্ধে দ্রুতই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরের খালের দখল ও দূষণ রোধে অংশীজনদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। আমরা চাই কমিউনিটিকে যুক্ত করতে। খালের পার্শ্ববর্তী অনেক জলাশয় আছে যেখানে খাস জমি রয়েছে। এসব খাস জমিগুলো খালের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে। খালের পাড় বাধাই করা হবে। খালের পাড়ে ওয়াকওয়ে থাকবে, সাইকেল লেন থাকবে এবং গাছ লাগানো হবে।

মেয়র বলেন, শহরকে বাঁচাতে হলে খাল ও জলাশয়গুলোকে রক্ষা করতে হবে। সরকারি সব সংস্থাকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। একটি প্রকল্প গ্রহণের আগে সব সংস্থার সাথে আলাপ আলোচনা করতে হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ডিএনসিসির খালগুলোর সীমানা নির্ধারণের কাজ করছে। মহানগর জরিপে খালের আকার অনেক ছোট হয়ে গেছে। পূর্বের ন্যায় সিএস দাগ অনুযায়ী খালের সীমানা নির্ধারণ করতে হবে।

এ সময় ডিএনসিসি মেয়র খালের সীমানা নির্ধারণ ও খালের পরিবেশ রক্ষায় করণীয় ঠিক করতে সব সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান কামরুন নাহার আহমেদ বলেন, ঢাকার প্রকৃত খাল উদ্ধার করতে হলে সিএস দাগ অনুযায়ী খাল উদ্ধার করতে হবে। নদী ও খালের সাথে সম্পৃক্ত যেকোনো প্রকল্প গ্রহণ করার আগে অবশ্যই জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন থেকে অনাপত্তিপত্র নিতে হবে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। খাল ও নদী দূষণ রোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজার সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের সঙ্গে ছিলেন ঢাকা ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পানি সম্পদ প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আতাউর রহমান, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মুজিবুর রহমান, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মাহে আলম, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্লানার্সের (বিআইপি) সভাপতি মো. ফজলে রেজা সুমন, বেলার প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. মুজাফফর ফয়সাল, নোঙ্গরের সভাপতি সুমন শামস প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
এমএমআই/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।