রাজশাহী: এবারে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) ছিলেন ভুয়া চিকিৎসক। তবে কীভাবে তিনি সেখানে ঢুকেছিলেন এবং কেন সেখানে অবস্থান করছিলেন তা বলতে পারছেন না কেউই!
এক রোগীর কাছে পরিচয় দিতে গিয়ে ধরা খান সেই ভুয়া চিকিৎসক।
আটক সামিউর রাজশাহী মহানগরীর উপ-ভদ্রা এলাকার রাশেদুর রহমানের ছেলে। পারিবারিকভাবে দাবি করা হয়েছে সামিউর মানসিক ভারসাম্যহীন।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১টার দিকে আনসার সদস্যরা তাকে রামেক হাসপাতালের ওটি থেকে আটক করেন। পরে সকালে তাকে মহানগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
সামিউরের নামে রাজপাড়া থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলের মধ্যে আদালতের মাধ্যমে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর কথা আছে।
জানতে চাইলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ বলেন, সামিউর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওটিতে ছিলেন। তবে কীভাবে তিনি সেখানে ঢুকেছিলেন তা কেউ বলতে পারেননি। সামিউর আগে সরকারি ডেন্টাল আইএইচটির শিক্ষার্থী ছিলেন বলে তারা জানা গেছে। যার জন্যই আগেও হাসপাতালে তার আনাগোনা ছিল। কিন্তু চিকিৎসক হিসেবে কখনও পরিচয় দেননি। প্রথমবার পরিচয় দিতে গিয়েই ধরা পড়েন তিনি। তার কথায় ওটিতে থাকা দায়িত্বরতদের সন্দেহ হলে আনসার সদস্যদের ডাকা হয়। পরে তারা গিয়ে সামিউরকে আটক করে পুলিশে দেন।
রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হক বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল রামেক হাসপাতাল থেকে ওই ভুয়া চিকিৎসককে আটক করে থানায় নেয়। পরিবারের দাবি, তার মানসিক সমস্যা আছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার নামে প্রতারণার মামলা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলের মধ্যেই তাকে কারাগারে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩
এসএস/এফআর