লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে বোমা ফাটিয়ে অস্ত্রের মুখে অপহৃত সাইফুল ইসলাম (১৭) নামে এক মাদরাসা ছাত্রকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শাহাদাত (২১) ও সাগর (২২) নামে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। দুপুরে ভিকটিমের মা রোজিনা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। ভিকটিমের মা বাদী হয়ে আটক দুইজনসহ অজ্ঞাতনামা ১২ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দিয়েছেন। আটকদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ ও ভিকটিমের পরিবার জানায়, শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের করইতোলা এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে সাইফুলকে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এসময় অপহরণকারীরা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে জানান বাড়ির লোকজন। এ ঘটনার পর পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য অভিযানে নামে। শনিবার ভোর রাতে বশিকপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
তাদের অভিযোগ, স্থানীয় আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে শ্রমিক ভিসায় ওমানে নেয় সাইফুলের বাবা। ৫ মাস পরে ওই ব্যক্তি দেশে ফিরে এসেই তার দেওয়া টাকাগুলো দাবি করে। ওই ব্যক্তিই সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে সাইফুলকে অপহরণ করেছে বলে দাবি তাদের।
ভিকটিম সাইফুল বশিকপুর ইউনিয়নের বালাইশপুর গ্রামের ওমান প্রবাসী জালাল উদ্দিনের ছেলে ও রামারখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্র। নানার বাড়িতে বসবাস করছে সে।
সাইফুলের মা রোজিনা বেগম বলেন, আমার স্বামী জালাল বালাইশপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে শ্রমিক ভিসায় ওমান নিয়েছিল। ওই লোক ৫ মাসের মাথায় ওমান থেকে চলে আসে। এরপর তিনি ওই টাকা ফেরত চায়। তিনি কিছুদিন পরপর টাকার জন্য বিভিন্ন কথা শুনাতো। ওই ব্যক্তিই পরিকল্পিতভাবে হামলা ও অপহরণের ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩
আরএ