চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বাড়াদি সীমান্তে নিহত দুই বাংলাদেশির মরদেহ ১৪ দিন পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বিএসএফের গুলিতে নিহত হন তারা।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ দুইটি ফেরত দেওয়া হয়।
নিহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে সাজেদুর রহমান (২৭) ও শরীয়তউল্লাহর ছেলে খাজা মইনুদ্দীন (৩০)।
জানা গেছে, গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে বাড়াতি সীমান্তের ৮২ নম্বর পিলার দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে গরু আনতে যান বেশ কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী। এ সময় ভারতের অভ্যন্তরে বিজয়পুর সীমান্ত এলাকায় প্রবেশ করলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে গোবিন্দপুর ৩২ নম্বর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাজেদুর ও মইনুদ্দীন। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কৃষ্ণগঞ্জ হাসপাতালে রাখা হয়। ঘটনার পর মরদেহ ফেরত চেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিএসএফকে পত্র দেয়। কিন্তু বিএসএফ তাতে সাড়া না দেওয়ায় মরদেহ ফেরত পাওয়া যায়নি।
এদিকে গত ২৭ ডিসেম্বর বিকেলে দর্শনা বাড়াদি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও আইনি জটিলতার কারণে নিহতের মরদেহ গ্রহণ করা হয়নি। এমনটাই জানায় বিজিবি। ফলে মরদেহ নিয়ে ফিরে যায় বিএসএফ। অবশেষে শনিবার সন্ধ্যায় সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে দু’দেশের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মরদেহ দুইটি হস্তান্তর করে বিএসএফ।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা জানান, ৮২ নম্বর পিলারের কাছে কৃষ্ণনগর থানার ওসি বিপেন সরকার মরদেহ হস্তান্তর করলে মরদেহ দুইটি গ্রহণ করা হয়। শনিবার সন্ধ্যার পর মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। সেসময় উপস্থিত ছিলেন বিজিবি চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক হায়দার আলী ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার রাজেস নারায়ণসহ দু’দেশের কর্মকর্তারা
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩
এসআরএস