মাদারীপুর: কুয়াশা, মেঘলা আকাশ, সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর শীতের দাপটে জনজীবনে এক ধরনের স্থবিরতা বিরাজ করেছিল কয়েকদিন। ব্যাহত হচ্ছিল স্বাভাবিক কাজকর্ম।
মাদারীপুরে এক্সপ্রেসওয়েতে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকের সঙ্গে। আলাপকালে তারা জানান, তিন-চার দিন ধরে তীব্র শীত বিরাজ করছিল। সারাদিন রোদের মুখ দেখা যায়নি। গত দুদিনে মাঝেমধ্যে বৃষ্টিও পড়েছে।
তারা জানান, শীতে খেটে খাওয়া মানুষের কাজ থেকে বিরত থাকতে হয়েছে। সব মিলিয়ে এ কদিন বেশ দুর্ভোগ গেছে। সকালে রোদ দেখা যাওয়ায় মানুষের মধ্যে স্বস্তি দেখা যাচ্ছে। খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
ইজিবাইক চালক মো. সুমন বলেন, সারাদিন রোদ থাকুক এই প্রত্যাশা। রোদ না থাকলে শীতের মধ্যে কাজ করা যায় না। এ কদিন যাত্রীও কম ছিল। সকালে রোদ ওঠায় মানুষের চলাচল বেড়েছে।
সকালে এক্সপ্রেসওয়ে ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েকদিনের তুলনায় এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলাচল বেড়েছে। যাত্রীদের উপস্থিতিও বেশি। দূরপাল্লার পরিবহনও স্বাভাবিকভাবে চলছে।
ঢাকাগামী বাসের একাধিক চালক বলেন, কুয়াশা না থাকায় ভোর থেকেই যাত্রী বেড়েছে। দূরপাল্লার যান চলাচলে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
ঢাকাগামী যাত্রী আয়শা আক্তার বলেন, আজ কুয়াশা নেই। রোদ উঠেছে, এজন্য ঢাকা যাচ্ছি। দুদিন আগেই যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শীতের কারণে সাহস হয়নি বাচ্চাদের নিয়ে বের হওয়ার। আবহাওয়া বেশ ভালো।
শিবচর হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে হাইওয়ে পুলিশের নিয়মিত ডিউটি রয়েছে। মহাসড়কের কোথাও যেন পরিবহনের কোন জটলা তৈরি না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৪
আরএইচ