ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ছেলের কান্না শুনে ঘরে গিয়ে দেখেন ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে মেয়ে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
ছেলের কান্না শুনে ঘরে গিয়ে দেখেন ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে মেয়ে

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে সিনথিয়া ইসলাম ইলা (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতাল থেকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।

 

সিনথিয়া শহরের নয়াটোলা এলাকার মৃত সাঈদ ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী।  

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) এস এম রাসেল পারভেজ।

পুলিশ জানায়, সিনথিয়ার বাবা মারা যাওয়ার পর তার মা রুবি পারভীন দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সৎ বাবা ফারুক হোসেন ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। মেয়ে সিনথিয়া ও পাঁচ বছরের সৎ ছেলেকে নিয়ে মা রুবি নয়াটোলা ডিআইবি রোড এলাকায় এক বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সে আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবারের লোকজন দাবি করছে। তবে কী কারণে আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি।

সিনথিয়ার মা রুবী পারভীন জানান, সিনথিয়া বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি আসে। এরপর তিনি তার মেয়ে ও সৎ ছেলেকে রেখে পাশের বাড়িতে যান। কিছুক্ষণ পর ছেলের কান্নার আওয়াজ পেয়ে বাড়িতে এসে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলতে দেখেন সিনথিয়াকে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে যান সৈয়দপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মারুফ-উল ইসলাম।

এ ব্যাপারে মারুফ-উল ইসলাম জানান, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। শরীরের কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

ওসি (তদন্ত) এস এম রাসেল পারভেজ জানান, মৃত্যুর আসল কারণ জানতে বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) স্কুলছাত্রীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।