ঢাকা: শিশুদের সমন্বিত ইসিডি সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ২৭১ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশু-যত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং সাঁতার সুবিধা প্রদান প্রকল্পের’ ব্রিজিং লিডারশিপ ইনিশিয়েটিভের উদ্বোধন করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট শিশু গড়ে তুলতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এ প্রকল্পটি যেমন কমিউনিটি পর্যায়ে নারীদের কর্মসংস্থান গড়ে তুলবে তেমন শিশুদের মানসিক ও শারীরিকভাবে গড়ে তুলতে সহয়তা করবে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণলায়ের সচিব নাজমা মোবারেকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় উপস্থিত ছিলেন সিনারগোস গ্লোবালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ার মিস. পেগি ডুলানি।
সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশু-যত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং সাঁতার প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ২৭১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। যেখানে বাংলাদেশ সরকার ২১৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা এবং ইউনিসেফ ৫৪ কোটি ২১ টাকা ব্যয় করছে। এ প্রকল্পে বাস্তবায়ন সহযোগী হিসেবে রয়েছে ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রোপিজ, এবং রয়্যাল ন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিটিউট (আরএনএলআই)।
এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ, শিক্ষা এবং যত্ন প্রদান নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে শিশুর সার্বিক বিকাশ, নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস করা।
আইসিবিসি প্রকল্প থেকে দিনের সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে ৫ বছরের নিচের বয়সী শিশুদের বিকাশ উপযোগী সেবা প্রদান, ১ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুর জন্য কেন্দ্রভিত্তিক সমন্বিত ইসিসিডি সেবা প্রদান, ৬ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের নিরাপদ সাঁতার শিক্ষা প্রদান, ইসিসিডি বিষয়ে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার সামর্থ্য বৃদ্ধি করা, শিশুর বিকাশ ও সুরক্ষার সর্বোত্তম পরিকল্পনা এবং সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪
এইচএমএস/জেএইচ