ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চিন্ময়ের গ্রেপ্তারের পর বিশৃঙ্খলায় ইন্ধন থাকতে পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
চিন্ময়ের গ্রেপ্তারের পর বিশৃঙ্খলায় ইন্ধন থাকতে পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কথা বলছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। 

সিলেট: ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের পর বিশৃঙ্খলায় দেশে ও বাইরের ইন্ধন থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সিলেট সার্কিট হাউসে বিভাগের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এগুলো পরিকল্পিত, এর পেছনে কোনো ইন্ধন আছে কি না? এমন প্রশ্নে জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমি এসব কিছুর পেছনে কোনো ইন্ধন আছে কি না, এ বিষয়ে কিছু বলছি না? আপনারা সাংবাদিকরা অনুসন্ধান করে যদি কোনো ইন্ধন বের করতে পারেন তাহলে আমরা এটা নিয়ে ব্যবস্থা নেবো। আপাতত আমি কোনো ইন্ধন দেখছি না।  আমার মনে হয়, এ ক্ষেত্রে বাইরেরও কোনো ইন্ধন আছে। দেশেও দু’একটা পার্টি আছে, তাদেরও হয়তো কোনো ইন্ধন আছে। তবে আমরা সবকিছুরই দিকে নজর দিচ্ছি। কিন্তু আমার মন্ত্রণালয়ে আমি এই দুইটার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। আর যার যার মন্ত্রণালয়ের ভেতরে তারা নজর দিচ্ছেন।

ঢাকায় কলেজে সংঘর্ষের প্রশ্নে তিনি বলেন, ছাত্র প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং আলোচনার পর একটি ফলপ্রসূ হয়েছে এবং এই সমস্যাটি সমাধান হয়ে যাবে। যেহেতু ছাত্র-জনতা আমাদেরই ছেলে, আমাদেরই মেয়ে, এ অবস্থায় তেমন একটা কঠোর হওয়া সম্ভব না। তাদের বুঝাতে হবে, তারা বুদ্ধিমান আমরা বুঝতে পেরেছি। তারা নিজে নিজেদের মধ্যে সমস্যাটি সমাধান করবেন।

তিনি বলেন, ৬, ৭ এবং ৮ আগস্টের পর থেকে কোনো উন্নতি হয়নি। আমার হাতে এরকম কিছু নেই যে, বলবো আর হয়ে যাবে। তবে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আমি বলবো আরও উন্নতি হওয়ার অবকাশ আছে। এজন্য আপনাদের সাহায্য ও সহযোগিতা চাই।  

থানায় হামলা হয়েছিল এবং অস্ত্র লুট হয়েছিল, সেই অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের সম্পূর্ণ অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি। এজন্য আমাদের অস্ত্র অভিযান কিন্তু বন্ধ করিনি।  

৫ আগস্টের পর প্রতিহিংসামূলক বেশ কিছু মামলা হয়েছিল, সিলেটের প্রবাসীদেরও মামলায় জড়িত করা হয়েছিল, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেক ভুয়া মামলা হয়েছে। এই ভুয়া মামলায় নিরপরাধ কোনো ব্যক্তি যদি হয়রানির স্বীকার না হয় এই ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। এজন্য আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি আলোচনা হয়েছে আমাদের ডিসি সাহেব, এসপি সাহেব এবং একজন কর্মকর্তা নিয়ে আমরা একটি কমিটি করে দেবো। তারা এটা দেখবেন কোনো মামলাটি তাদের জন্য গ্রহণযোগ্য এবং কোনো মামলাটি তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য না। যারা এই ভুয়া মামলা দিচ্ছেন তাদের ধরিয়ে দিতে গণমাধ্যমের কাছেও সহযোগিতা চেয়েছেন। যারা ভুয়া মামলা করেছেন এবং ভুয়া মামলা দিয়ে টাকা রোজগার করছেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

যারা এই ভুয়া মামলা দিচ্ছেন তাদের ধরিয়ে দিতে গণমাধ্যমের কাছেও সহযোগিতা চেয়েছেন উপদেষ্টা।  

যারা ভুয়া মামলা করেছেন এবং ভুয়া মামলা দিয়ে টাকা রোজগার করছেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

সার্কিট হাউসে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অনেক সমস্যা-সমালোচনা মোকাবিলা করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় যে যা বলুক, কাজ করে যেতে হবে। কি পরিস্থিতির মধ্যে আপনারা কাজ শুরু করেছেন, তা সবাইকে বিবেচনা করতে হবে। কেউ প্রশংসা করুক, না করুক কাজ করে যেতে হবে।

এ সময় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, মহানগর পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জেলার পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
এনইউ/এএটি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।