ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বোয়ালমারীতে বারাসিয়া নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪
বোয়ালমারীতে বারাসিয়া নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার

ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বারাসিয়া নদীতে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী মাছ শিকার ও মাছ চাষ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ময়না ইউনিয়নের বান্দুগ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বারাসিয়া নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার এবং মাছচাষ করছেন প্রভাবশালীরা।

নিয়ম অনুসারে, প্রবহমান কোনো জলাশয়ে কোনো ধরনের বাঁধ, স্থায়ী অবকাঠামো বা অন্য কোনোভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। জলাশয়ে পানির প্রবাহ ও মাছের চলাচল বাঁধ দিয়ে বা অন্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত করলে শাস্তির বিধান রয়েছে।  

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বারাসিয়া নদীর ওই স্থানের এক পাশে বোয়ালমারী সদর ইউনিয়ন, অপর পাশে ময়না ইউনিয়ন। নদীর ওই স্থানের দুইপাড়কে সংযুক্ত করে বাঁশ ও বাঁধ দিয়ে চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে মাছ আহরণ করা হচ্ছে। এতে মাছের প্রজনন ধ্বংস হচ্ছে।  

স্থানীয়রা জানান, ময়না ইউনিয়নের বান্দুগ্রামের দক্ষিণপাড়ার মো. বাকু শেখের ছেলে ইমান শেখ, আব্দুল হক শেখের ছেলে ওমর শেখ, সোতাশী গ্রামের মাজেদ বিশ্বাসের ছেলে সুমন বিশ্বাস, মুন্নু বিশ্বাসের ছেলে আমিনুর বিশ্বাসসহ স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু লোক নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করছেন। অনেক জেলেই নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ আহরণ করার কারণে ক্ষোভ জানিয়েছেন।  

স্থানীয়রা আরও জানান, যারা বাঁধ দিয়েছেন, তারা এলাকায় প্রভাশালী। তাই তাদের শত নিষেধের পরও কোনো কাজ হচ্ছে না।  

আইন অমান্য করে নদীতে বাঁধ দেওয়া সঠিক কি না জানতে চাইলে বাঁধ প্রদানকারী সুমন বিশ্বাস বলেন, ময়লা পানি ঠেকানোর জন্য নদীতে বাঁধ দিয়েছি। এখানে কিছু টাকা খরচ হয়েছে। তাই সেখানে কিছু সিলভার কার্প মাছ ছেড়ে চাষ করছি। অন্যদিকে, ইমান শেখের মোবাইলফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।  

নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারের বিষয়ে জানতে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি দেখছি।  

বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেহেদী হাসান জানান, বিষয়টি আমার চোখে পড়েনি। আমি বিষয়টি দেখার জন্য মৎস্য কর্মকর্তাকে বলব।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।