নাটোর: নাটোর বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে ঘুষ দাবি ও দালালদের মাধ্যমে কাজ করানোর অভিযোগে এ অভিযান চালানো হয়।
বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে নাটোর বিআরটিএ অফিসে অভিযান শুরু করেন দুদক রাজশাহীর কর্মকর্তারা।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাজশাহীর সমন্বয়কারী সহকারী পরিচালক মো. আমির হোসাইন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রাজশাহীর উপ-সহকারী পরিচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন ও সহকারী পরিদর্শক মো. মাহবুবুর রহমান।
এর আগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাজশাহীর সহকারী পরিচালক আমির হোসাইনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম দুপুর দেড়টার দিকে নাটোর দুদক কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে। এ সময় কাগজপত্র যাচাই বাছাইসহ ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন করতে দেওয়া বেশ কয়েকজন সেবা গ্রহীতার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে অতিরিক্ত টাকা দাবি ও অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগের সত্যতা পান দুদকের কর্মকর্তারা।
পরে তারা নাটোর বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালক এটিএম ময়নুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন। বিকেল ৩টার দিকে অভিযান শেষে দুকের সহকারী পরিচালক সাংবাদিকদের জানান এসব বিষয়ে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
অভিযান শেষে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাজশাহীর সমন্বয়কারী সহকারী পরিচালক মো. আমির হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, বিআরটিএ নাটোরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী দালালের মাধ্যমে ঘুষ নেন এমন অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় ঢাকা অফিসের নির্দেশে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলাকালে বেশ কয়েকজন সেবা গ্রহীতাকে ফোন দিয়ে আমরা এসব অনিয়ম-দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা পাই।
তিনি বলেন, এসব বিষয় নিয়ে বিআরটিএ নাটোরের সহকারী পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি (সহকারী পরিচালক) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক করেছেন। সেইসঙ্গে দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বিআরটিএ নাটোর অফিসের বেশ কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি। কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আমাদের আজকের অভিযানের বিষয়বস্তু নিয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন কমিশন বরাবর দাখিল করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৪
এফআর