ঢাকা, বুধবার, ৩ পৌষ ১৪৩১, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মিয়ানমার থেকে আর কাউকে ঢুকতে দেবো না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪
মিয়ানমার থেকে আর কাউকে ঢুকতে দেবো না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। 

ঢাকা: এমনিতেই মিয়ানমারের প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে রয়েছে। রোহিঙ্গা বা যেই আসুক, মিয়ানমার থেকে আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

 

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে হাইওয়ে পুলিশের ‘সেবা সপ্তাহ-২০২৪’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মিয়ানমারের চারদিকেই যুদ্ধ লেগে আছে। বাংলাদেশ সীমানায় আরাকান আর্মির সঙ্গে তাদের বাহিনীর যুদ্ধ চলছে। আমরা দেখছি তাদের এই যুদ্ধ এতটাই তীব্র হয়েছে যে, মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), সরকারি কর্মকর্তা, ধারণা করছি দুই-একজন সেনা সদস্য আমাদের এখানে ঢুকে পড়েছেন। এদের মধ্যে কেউ অস্ত্র নিয়ে এসেছেন, কেউবা অস্ত্র ছাড়া। তবে তারা এসেছেন জীবন রক্ষার জন্য, যুদ্ধের জন্য নয়। এরপর আমাদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা তাদের অস্ত্রগুলো রেখে আটক অবস্থায় আমাদের এখানে রেখেছে। এদের মধ্যে যারা আহত, তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা তাদের ফেরত নিতে জানিয়েছি। তারা অতি শিগগিরই জাহাজ করে তাদের নিয়ে যাবে বলে বার্তা পাঠিয়েছে। আশা করছি, দুই-একদিনের মধ্যেই তাদের সদস্যদের তারা ফেরত নিয়ে যাবে। আমাদের সঙ্গে তাদের কোনো কনফ্লিক্ট নেই, কোনো ধরনের যুদ্ধ নেই, তারা আত্মরক্ষার্থে এখানে এসেছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি এমনিতেই প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের এখানে রয়েছে। রোহিঙ্গা বা অন্য কেউ যেই আসুক, মিয়ানমার থেকে আমরা কাউকে আর এখানে ঢুকতে দেবো না। যারা আত্মরক্ষার্থে এখানে এসেছে  তাদের সরকারকে বলেছি নিয়ে যেতে। তারা নিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে আমাদের বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড সবাই অতন্দ্রপ্রহরীর মতো কাজ করছে। সেখানে যুদ্ধ হচ্ছে, এ সীমানায় তাদের কেউ আসবে বলে মনে হচ্ছে না। তারপরেও যদি আসে আমাদের এখানে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।

বিজিপি সদস্যদের যারা আশ্রয় নিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের ওপর আক্রমণে তাদের কেউ জড়িত ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো লিস্ট নেই। আমরা সেই সময় দেখেছি মাইলের পর মাইল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, নদীতে মরদেহ ভেসে আসতে দেখেছি। সেখানে যে গণহত্যা হতো আমরা দেখেছি সেই সময় তাদের আর্মি দাঁড়ানো ছিল। তবে তারাই গণহত্যা করেছেন কি না জানি না। আন্তর্জাতিক আদালতে এটার বিচার চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪
পিএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।