ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে কিশোরের মৃত্যু, নির্যাতনের অভিযোগ পরিবারের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪
শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে কিশোরের মৃত্যু, নির্যাতনের অভিযোগ পরিবারের

ঢাকা: গাজীপুরের টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে (বালক) অসুস্থ হয়ে মারুফ আহমেদ (১৬) নামে এক কিশোর চিকিৎসাধীন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা গেছে। পরিবারের অভিযোগ, কেন্দ্রের ভেতরে নির্যাতনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

 

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঢামেকের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ঢামেকে ভর্তি করা হয় তাকে।

ঢামেক হাসপাতালের মর্গে মারুফের বাবা মো. রফিক আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলায়। বর্তমানে খিলক্ষেত দর্জিবাড়ি এলাকায় পরিবারের নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন। মারুফ আগে কিছুদিন মাদরাসায় পড়াশোনা করলেও পরে বাদ দেয়। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে মারুফ ছিল সবার বড়।

রফিক আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি খিলক্ষেত এলাকায় এক ঝালমুড়ি বিক্রেতার সঙ্গে কয়েকজন ছেলের ঝগড়া হয়। সেখানে দাঁড়িয়েছিল মারুফ। তখন খিলক্ষেত থানা পুলিশ দুই ছেলের সঙ্গে মারুফকেও ধরে নিয়ে যায়। ২৮ জানুয়ারি আদালতে চালান করে দেয়। খবর পেয়ে থানায় গিয়ে জানতে পারি মারুফের নামে ডাকাতির মামলা হয়েছে। আদালত থেকে তাকে গাজীপুরের টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানান, গত ৮-১০ দিন আগে স্ত্রী ইয়াসমিন বেগমকে নিয়ে তিনি টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে মারুফের সঙ্গে দেখা করতে যান। তখন মারুফ কান্না করে বলে, ‘বাবা আমি জীবনেও আর মারামারি বা খারাপ কাজ করবো না। তোমরা আমারে এখান থেকে নিয়া যাও। ওরা আমাকে বাথরুম, থালা বাসন ধোয়ায়। না ধুইলে আমারে অনেক মারধর করে। ’

রফিক আহমেদ বলেন, ‘গত ১২ ফেব্রুয়ারি ফোন করে জানানো হয়, মারুফ অসুস্থ। তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। পরে ঢাকা মেডিকেলে এসে দেখি আমার ছেলে অচেতন অবস্থায় আছে। তার সঙ্গে কোনো কথা বলতে পারিনি। মারুফের শরীরে, হাতের কনুইয়ে ও পিঠের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত দেখেছি। আমার ছেলেরে ওরা মারধর করেছে। মারধরের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। আমি আমার ছেলের মৃত্যুর বিচার চাই। ’

শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সানারুল হক সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন, ওই কিশোরের ডান চোখের পাশে কালো ছিলা এবং ডান ও বাম হাতের কনুইতে ছিলা, দুই পায়ের বিভিন্ন স্থানেও ছিলা।

এসআই সানারুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) মারুফের মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪
এজেডএস/এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।