ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

১৩ বছর পর হত্যা মামলার পলাতক আসামি রশীদ গ্রেপ্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪
১৩ বছর পর হত্যা মামলার পলাতক আসামি রশীদ গ্রেপ্তার

ঢাকা: বেড়া থানার মহরম আলী হত্যা মামলার পলাতক আসামি আব্দুর রশীদকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১। তিনি দীর্ঘ ১৩ বছর পলাতক ছিলেন।

তার বিরুদ্ধে ডাকাতি প্রস্তুতিসহ প্রায় অর্ধডজন মামলাও রয়েছে।  

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে র‌্যাব -১ এর সিনিয়র সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. পারভেজ রানা বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

এর আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন কুটুরিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, ২০১০ সালের ২২ অক্টোবরে পাবনা জেলার বেড়া থানার হত্যা মামলা (নং- ১১) রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০১০ সালে পাবনা সাঁথিয়া উপজেলার ফেসুয়ান গ্রামের মাজেদ শেখের মেয়ে নাছিমাকে পাবনা জেলা সদরে বিয়ে করেন রশিদ। পরবর্তীতে সাঁথিয়া উপজেলার ভুক্তভোগী মহরম আলীর সঙ্গে নাছিমার প্রেমের সম্পর্ক হওয়ায় নাছিমা তারে আগের স্বামীর ঘর থেকে পালিয়ে এসে ভুক্তভোগী মহরম আলীকে বিয়ে করেন। কিন্তু নাছিমার আত্মীয় স্বজন বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে ভুক্তভোগী মহরম আলীকে আটক করে পাবনা বেড়া থানাধীন গুপিনাতপুর নাছিমার খালার বাড়িতে নিয়ে মহরম আলীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় শারীরিক নির্যাতন করে এবং গোবর ও মানুষের প্রস্রাব খাইয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেন তারা।  

তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় আলীর বড় ভাই মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে রশীদকে প্রধান আসামি করে চার জনসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে বেড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে দীর্ঘ ১৩ বছর আসামি রশিদ আত্মগোপনে থাকে। ঘটনার পরে তাকে গ্রেপ্তার করতে নজরদারি শরু করে র‌্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন কুটুরিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪
এসজেএ/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।