ময়মনসিংহ: ঘরে খাবার নেই। তাই সকালে যাত্রীবাহী সিএনজি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান চালক আল আমিন (২৮)।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাশ ঘরের সামনে বসে ছেলের মৃত্যু শোকে এভাবেই বিলাপ করছিলেন বৃদ্ধ মা আনিছা খাতুন (৬০)। এ সময় তার পাশে বসে কান্না করছিল নিহত আল আমিনের বোন তাছলিমা খাতুন (৩৫)।
বৃদ্ধ মা আনিছা খাতুন ফুলপুর উপজেলার ভিউ পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. ছাহের উদ্দিনের স্ত্রী। বর্তমানে তারা ছেলে ও তার পরিবারকে নিয়ে উপজেলার বালিয়া মোড়ে একটি বাসা ভাড়া করে বসবাস করে আসছিলেন।
আনিছা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, আমার কোনো বসত ভিটা নেই। স্বামী অসুস্থ হয়ে অনেকদিন ধরে বিছানায় পড়ে আছেন। এখন ছেলে আল আমিনই ছিল পরিবারের একমাত্র ভরসা। তার রোজগারেই চলত সংসার। আল আমিন বিয়ে করেছে। ছয় বছর বয়সি লামিয়া ও তিন বছর বয়সি মোবারক নামে তার দুটি শিশু সন্তান রয়েছে।
ছেলে হারানোর শোকে কাতর মা আনিছা কাদঁতে কাঁদতে আরও বলেন, আমার ছেলে কই গেলো। এখন সংসারের বাজার কে করবে, কে আমাদের দেখবো। আল্লাহ্ গো তুমি আমার ছেলেরে ফিরাইয়া দেও।
এর আগে স্বামী হারানোর শোকে কাদঁতে কাঁদতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন নিহত আল আমিনের স্ত্রী মো. হালিমা খাতুন। এ সময় হাসপাতালের মর্গে উপস্থিত লোকজন তার মাথায় পানি ঢেলে সুস্থ করার চেষ্টা করেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১১টায় ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আলালপুর নামক স্থানে বাস ও যাত্রীবাহী সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন:
ময়মনসিংহে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, একই পরিবারের ৩ জনসহ নিহত ৭
আত্মীয়ের জানাজায় যাওয়ার পথে লাশ হলেন তিনজন
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
এসএম