ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ইতালি যাওয়ার পথে সাগরে ডুবে দুই বাংলাদেশির মৃত্যু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
ইতালি যাওয়ার পথে সাগরে ডুবে দুই বাংলাদেশির মৃত্যু

মাদারীপুর: অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে তিউনিসিয়া উপকূলের ভূমধ্যসাগরে ডুবে মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার মামুন শেখ (২০) ও সজল বৈরাগী (২৫) নামে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন ওই উপজেলার আপন শেখ নামে আরও এক যুবক।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দুই যুবকের মৃত্যুর খবর জানাজানি হলে পরিবারসহ এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।

আদরের সন্তানদের হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে নিহতের পরিবার। তাদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে পরিবেশ। ওই দুই যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় দালালকে দায়ী করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৪ জানুয়ারি রাজৈর উপজেলার খালিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম স্বরমঙ্গল গ্রামের ইউসুফ আলী শেখের ছেলে মামুন শেখ ও সেনদিয়া গ্রামের সুনীল বৈরাগীর ছেলে সজল বৈরাগীসহ (২৫) বেশ কয়েকজন যুবক ইতালির উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। পরে গত বুধবার লিবিয়া থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ইতালির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা।  

৩২ জন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন নৌকায় ৫২ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে নিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে তিউনিসিয়ার ভূমধ্যসাগরে নৌকার ইঞ্জিন ফেটে ডুবে যায়। এ সময় মামুন ও সজলসহ মারা যায় ১২ জন। পরে খবর পেয়ে বেশ কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় কোস্টগার্ড। এছাড়া এখনও নিখোঁজ রয়েছে পার্শ্ববর্তী গোহালা ইউনিয়নের পান্নু শেখের ছেলে আপন শেখ।

নিহত মামুন শেখের বড় ভাই সজিব শেখ জানান, মানব পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদী ইউনিয়নের সুন্দরদী গ্রামের বাদশা কাজীর ছেলে মোশাররফ কাজী প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে নেয় ১৩-১৫ লাখ টাকা নেয় সরাসরি ইতালি পাঠানোর কথা বলে। পরে নিয়ে যায় লিবিয়ায়। সেখান থেকে সাগর পথে যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। পরে লিবিয়া থেকে মৃত্যুর সংবাদ আসে আমাদের কাছে।

এদিকে সরকারিভাবে তাদের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান স্বজনেরা। এই ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত দালাল মোশারফ কাজী দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়া বসবাস করছেন। তার ছেলে যুবরাজ গ্রাম থেকে ইতালি পাঠানোর জন্য যুবকদের সংগ্রহ করতেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, বিষয়টি জানতে পেরেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।