ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শ্রীপুরে স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি হলো গড়াই নদীর বেড়িবাঁধ

জয়ন্ত জোয়াদ্দার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪
শ্রীপুরে স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি হলো গড়াই নদীর বেড়িবাঁধ

মাগুরা: জেলার শ্রীপুর উপজেলা দোরান নগর গ্রামে আগ্রাসী গড়াই নদী ভাঙনে অস্তিত্ব হুমকিতে পড়েছে ওই গ্রামে বসবাসকারীরা। গ্রামের রাস্তা গোসলের ঘাট, মন্দির, বসতবাড়িসহ নদীগর্ভে হারিয়েছে গেছে বছর কয়েক আগে।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দোরান নগর গ্রামের শতাধিক গ্রামবাসী মিলে ভাঙন প্রতিরোধে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেন।

নদী ভাঙন নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছে এই এলাকার মানুষ। আগ্রাসী গড়াই এখনই বুঝি কেড়ে নিলো শেষ আশ্রয়টুকু, সেই দুশ্চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটছে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের।

দোরান নগর মধ্যপাড়ার অসহায় মানুষের কল্যাণে সর্বনাশা গড়াই নদীর ভাঙনের করাল গ্রাস থেকে নিজেদের শেষ সম্বল ভিটে মাটি বাঁচানোর জন্য ব্যক্তি উদ্যোগে নির্মাণ করা হচ্ছে বেড়িবাঁধ।

গত পাঁচ বছর বিভিন্ন সরকারি অফিসে অনেকবার নদী রক্ষার দরখাস্ত দিয়েও কোনো ফল না হওয়ায় নিজেরাই বেড়িবাঁধে নির্মাণ কাজ শুরু করেন।

গত বর্ষা মৌসুমে গ্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা ধসে যায় নদী স্রোতে। এরই মধ্যে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়েছে অনেকেই। বাকিরাও আছেন শঙ্কায়।

দোরান নগর গ্রামের বাসিন্দা প্রকৌশলী রথিন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, প্রতিবছর গড়াই নদীর ভাঙনে আমাদের দোরান নগর গ্রামের রাস্তা, বসতবাড়ি বিলীন হয়ে যায়। ভাঙনে থেকে রক্ষা পেতে গ্রামবাসী ও সমাজের বৃত্তবান মানুষের আর্থিক সহায়তায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। গত বছর গ্রামবাসীর উদ্যোগে আট লাখ টাকা ব্যয়ে আটটি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। সেখানে এবার নতুন করে ইট, বালু লোহার রড় ও কংক্রিটের ঢালাইয়ের পিলার নির্মাণ করা হয়েছে। এই বেড়িবাঁধ নির্মাণের ফলে আগামী বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে গোটা গ্রাম।

ডাক্তার পঙ্কজ কান্তি মণ্ডল বলেন, নদীর এ কুল ভাঙে ওকুল গড়ে। আমাদের ভাগ্যটাই খারাপ আমরা প্রতি বছর ভাঙনের মুখে পড়ছি। এতে বাড়ি-ঘর রাস্তাসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এই বেড়িবাঁধ তৈরি করতে ইট বালু, সিমেন্ট, লোহার রড, নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। আমাদের এই বেড়িবাঁধ তৈরিতে আনুমানিক খরচ হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ টাকা।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোচ্ছা. মমতাজ মহল বলেন, সমাজে যারা স্বেচ্ছাশ্রমের বিনিময়ে উন্নয়নমূলক কাজে এগিয়ে আসে তাদের সাধুবাদ জানাই। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।