ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ জুলাই ২০২৪, ০১ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

মানিকগঞ্জে ১৯ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৪
মানিকগঞ্জে ১৯ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

মানিকগঞ্জ: জেলার সিংগাইর উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী সালমা আক্তারকে হত্যার অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি লাল চাঁন ওরফে রবিন (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে ১৯ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪ এর একটি ইউনিট।

সোমবার (১৮ মার্চ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিপিসি-৩ র‌্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন।

গ্রেপ্তার লাল চাঁন জেলার সিংগাইর উপজেলার শ্যামনগর এলাকার করিম গাজির ছেলে। প্রথম স্ত্রীকে হত্যার পর তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন এবং বর্তমানে তার পরিবারে রানী নামে এক মেয়ে আছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০০০ সালের জুন মাসে পারিবারিকভাবেই লাল চাঁন ও সালমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর্যন্ত তাদের দাম্পত্য জীবন ভালোই কাটছিল। বিয়ের কিছুদিন পর লাল চাঁন নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন এবং সালমাকে তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে চাপ দেন। সালমার মা যৌতুকের টাকা দিতে পারবেন না বলে লাল চাঁনকে বুঝিয়ে বলেন। নেশার টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন লাল চাঁন।

এরপর ২০০৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং মারধরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় সালমা আক্তারের মৃত্যু হয়। পরে সালমার পরিবারের সদস্যরা গিয়ে দেখেন তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের পর ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

তার পরিপ্রেক্ষিতে সব সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত লাল চাঁনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। রায়ের পর থেকে তিনি (লাল চাঁন) পলাতক ছিলেন এবং ১৯ বছর বিভিন্ন ছদ্মবেশ জীবন কাটিয়েছেন। অবশেষে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সিপিসি-৩ র‌্যাব-৪ এর একটি অভিযানিক দল লাল চাঁনকে গ্রেপ্তার করে। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৪
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।