ঢাকা: গাজীপুর কালিয়াকৈর এলাকায় গ্যাসের আগুনে দগ্ধের ঘটনায় কোমেলা বেগম (৬৫) ও মশিউর রহমান (২২) সহ আরো দুইজন মারা গেছেন। এ নিয়ে ঘটনাটিতে ১৪জন মারা গেলেন।
বুধবার (২০মার্চ) ভোর ৫টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যান কোমেলা।
তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, কোমেলা বেগমের শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। ঘটনাটিতে এখন পর্যন্ত ১৪ জন মারা গেল। বর্তমানে ১৪ জন রোগী ভর্তি আছেন। একই ঘটনায় গতকাল (মঙ্গলবার) রাত ৯টার দিকে মারা যান দগ্ধ মশিউর রহমান। তার শরীরের ৬০ শতাংশ পোড়া ছিল।
কোমেলা বেগমের ছেলে শাকিল আহমেদ জানান, তাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর থানার পানগাড়ি গ্রামে। তারা সবাই কালিয়াকৈরে থাকেন। এই ঘটনায় তার ভাগনির জামাই পোশাকশ্রমিক লালন (২৪) দগ্ধ হয়ে আইসিইউতে ভর্তি আছেন।
মৃত মশিউরের স্ত্রীর ভাই সানোয়ার হোসেন জানান, তাদের বাড়ি লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার পারুলিয়া গ্রামে। বাবার নাম হামিদুল মিয়া। স্ত্রী শাহানা আক্তারকে নিয়ে কালিয়াকৈরে ভাড়া থাকতেন মশিউর। স্থানীয় এটিএস অ্যাপারেলস নামে পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। গত তিন বছর আগে বিয়ে করে মশিউর। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে বড় ছিলেন তিনি।
তিনি আরও জানান, ঘটনার দিন গার্মেন্টে কাজ শেষ করে বাসায় ফিরছিলেন মশিউর। বাসার সামনে জটলা দেখে সেখানে গেলে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৪
এজেডএস/এসএএইচ