সিরাজগঞ্জ: রোগীর বেড, খাবার থালা-বাসন, কাপড়চোপড় যেখানে হাত দেওয়া যায় সেখানেই তেলাপোকার দল ছুটতে থাকে। প্রতিটা কক্ষে নোংরা, অপরিচ্ছন্ন টয়লেট, পানের পিক আর আবর্জনাময় সিঁড়ি।
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের চিত্রটা ঠিক এমনই। এ হাসপাতালের সার্জারি ও মেডিসিন ওয়ার্ডে যেন তেলাপোকার সঙ্গেই বসবাস করতে হচ্ছে রোগীদের। তেলাপোকার বিচরণ, নোংরা পরিবেশ ও দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ রোগীরা টিকতে পারছে না হাসপাতালে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সরেজমিনে এ হাসপাতালে এমন চিত্র দেখা যায়। এ সময় পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা তেলাপোকা মারার ওষুধ দিতে দেখা গেছ। তবে এতেও তেলাপোকার বিচরণ ছিল।
রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বললে তারা হাসপাতালের অবস্থা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
রোগীরা বলেন, সরকারি হাসপাতাল হলেও সেবা এখানে নেই। দুর্গন্ধের কারণে বেডে থাকা যায় না। জামাকাপড়, খাবার থালাবাসন সবকিছুতেই তেলাপোকা বাসা বেঁধেছে। এতটাই নোংরা যে টয়লেটে যাওয়ার উপায় নেই। কোনো কোনো টয়লেটে বৈদ্যুতিক বাতি নেই। আবার কোনোটাতে ভেতর লক করার ব্যবস্থা নেই।
রোগীর স্বজনেরা বলেন, এ হাসপাতালে রোগীদের সুস্থ করার জন্য নিয়ে এসে আমরা নিজেরাই অসুস্থ হয়ে পড়ছি। এমন নোংরা পরিবেশ দেখে রোগী সরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে অনেকেই।
এসব বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রতন কুমার রায় বলেন, হাসপাতালের নতুন ভবনের মেডিসিন ও সার্জারি ওয়ার্ডে তেলাপোকা অথবা তেলাপোকার মতো দেখা যায় সম্ভবত অন্য পোকা রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের তেলাপোকা মারার ওষুধ দিয়েছি। কিছুদিন কমে থাকে এরপর আবারও হয়। আমরা চিন্তা করছি ঈদের আগে কিছু রোগী কম থাকলে একটা ওয়ার্ড ফাঁকা করে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে দুই-তিনদিন বন্ধ রাখতে হবে। তবেই এটি নির্মূল সম্ভব।
বাংলাদেশ সময়: ১১২১ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৪
এসএম