ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নকলার ইউএনওর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ তথ্য কমিশনের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২৪
নকলার ইউএনওর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ তথ্য কমিশনের তথ্য কমিশন

ঢাকা: তথ্য সরবরাহে সহযোগিতা না করে তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগকে বাধাগ্রস্ত করায় শেরপুরের নকলা উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে তথ্য কমিশন।  

মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে সুপারিশ করে সংস্থাটি।

তথ্য কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা লিটন কুমার প্রমাণিক এ বিষয়ে বলেন, দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকায় গত ৭ মার্চ প্রথম পৃষ্ঠার প্রথম কলামে ‘তথ্য চেয়ে আবেদন করে দেশ রূপান্তর সাংবাদিক জেলে’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি তথ্য কমিশন বাংলাদেশ পর্যালোচনা করে স্বপ্রণোদিত অনুসন্ধান করে।

মঙ্গলবার শুনানিতে নকলা উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বক্তব্য শুনেছে কমিশন। তথ্য প্রদানে অসহযোগিতা এবং তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগকে বাধাগ্রস্ত করায় ইউএনওর বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তথ্য কমিশন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে।  

প্রধান তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেক, তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক এবং তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টি তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী শুনানি গ্রহণ করে এমন সিদ্ধান্ত দেন।

শুনানি শেষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের তথ্য কমিশন ত্যাগ করার আগে ইউএনও  সাদিয়া উম্মুল বানিন বলেন, আমি কোনো ক্ষমতার অপব্যবহার করিনি। তিনি (সাংবাদিক রানা) অপরাধ করেছিলেন বলে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ফাইল ধরে টানাটানি ও একজন নারীকে উত্ত্যক্ত করেছিলেন তিনি।

গত ০৫ মার্চ ইউএনও কার্যালয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা একটি প্রকল্পের তথ্য চেয়ে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছিলেন সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানা। এ সময় আবেদন প্রাপ্তিস্বীকার অনুলিপি চান তিনি। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হলে অসদাচরণের অভিযোগে ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিনের নির্দেশনায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিহাবুল আরিফ ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে রানাকে দণ্ডবিধির দুটি ধারায় ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। বিষয়টি সর্বমহলের দৃষ্টি কাড়ে। ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে তথ্য কমিশনও স্বপ্রণোদিতভাবে অনুসন্ধান করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২৪
ইইউডি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।