ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মেঘনায় ইলিশের আকাল, জাটকার কেজি ৮০০

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০০ ঘণ্টা, মে ৪, ২০২৪
মেঘনায় ইলিশের আকাল, জাটকার কেজি ৮০০

লক্ষ্মীপুর: দীর্ঘ দুই মাস লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরা বন্ধ ছিল। পহেলা মে থেকে নদীতে ইলিশ শিকারে নামে জেলেরা।

কিন্তু জেলেদের জালে আশানুরূপ ইলিশ ধরা পড়ছে না। তাই হাটে-বাজারেও তেমন একটা ইলিশ উঠছে না। অল্প পরিমাণে ইলিশের দেখা মিললেও দাম একেবারেই চড়া। ফলে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে রুপালি ইলিশ।

শুক্রবার (০৩ মে) রাতে জেলা শহরের দক্ষিণ তেমুহনী মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে অল্প কিছু পরিমাণে ইলিশ রয়েছে। যা উচ্চ মূল্য হাঁকাচ্ছে বিক্রেতারা।  

২০০ গ্রাম ওজনের জাটকা ইলিশের কেজি হাঁকাচ্ছে ৮০০ টাকা করে। ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১২০০ টাকা কেজি, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি দুই হাজার থেকে ২২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

বাজারে ইলিশ কিনতে আসা নাজিম উদ্দিন বলেন, ইলিশের অনেক দাম, তাই কেনা সম্ভব নয়। আরেকজন ক্রেতা ডালিম কুমার বলেন, নদীতে অভিযান সবেমাত্র শেষ হলো। বাজারে মাছও কম, তাই উচ্চ মূল্য হাঁকাচ্ছে বিক্রেতারা।  

ইলিশ বিক্রেতা মো. মিলন বলেন, কমলনগরের একটি মাছঘাট থেকে মাছ কিনে এনে বাজারে বিক্রি করি। মাছ ধরা শুরু হলেও ঘাটে মাছের পরিমাণ একেবারে কম। নদী থেকে বেশিরভাগ জেলেরা খালি হাতে ফিরে আসছেন। কোনো কোনো জেলে দুই বা তিনটা মাছ ধরতে পারছে। মাছ ধরা না পড়ায় ঘাটেই দাম বেশি। তাই আমাদেরকে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।  

আরেকজন বিক্রেতা রহমান বলেন, জেলেদের জালে মাছ ধরা না পড়ায় বাজারে মাছ নেই। তাই দাম বেশি।  

লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এখনও ইলিশের মৌসুম শুরু হয়নি। সাধারণত আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাস হলো ইলিশের মৌসুম। তবে সারাবছরই কম-বেশি ইলিশ পাওয়া যায়। কিন্তু বর্তমান সময়টাতে কোনো বৃষ্টিপাত নেই। ফলে নদীতে নাব্যতা সংকট। তাই এ সময়টাতে নদীতে ইলিশ পাচ্ছে না জেলেরা। বর্ষা শুরু হলে এবং নদীতে পানির গভীরতা বাড়লে বেশি মাছ ধরা পড়তে পারে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।