ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চেম্বারে ডেকে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ, ভুয়া ডাক্তার গ্রেপ্তার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪০ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২৪
চেম্বারে ডেকে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ, ভুয়া ডাক্তার গ্রেপ্তার নিজের চেম্বারে অভিযুক্ত ধর্ষক নুর হোসেন পলাশ

নোয়াখালী: নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় ভুয়া ডাক্তারের হাতে এক তরুণী (১৮) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।  

রোববার (২ জুন) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার চাটখিল বাজার থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক নুর হোসেন পলাশকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

 

একইসঙ্গে এই ভুয়া ডাক্তারের চেম্বার সিলগালা করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।  

এরআগে, গত ২৬ মে চাটখিল পৌর বাজারের হাসপাতাল রোডে এই ভুয়া ডাক্তারের নিজস্ব চেম্বারে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।  

গ্রেপ্তার নুর হোসেন পলাশ উপজেলার চাটখিল পৌর বাজারের রক্তিম রোজ মেডিসিন পার্কের মালিক ও পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গোবিন্দপুরের গনি মিয়া সাব বাড়ির ছেলে।

ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগ, গত ২৬ মে ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরার পথে বিকেল ৪টার দিকে তার কিছু মেডিকেল রিপোর্ট দেখার জন্য তাকে চেম্বারে ডেকে নেন নুর হোসেন পলাশ। চেম্বারে যাওয়ার পর তার মাস্ক খুলে নাকের কাছে কিছু একটা ধরে তাকে অবচেতন করে চেম্বারের পেছনে আলাদা কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন পলাশ।  

তরুণী বলেন, বার বার পা ধরে ক্ষমা চেয়েও আমি তার হাত থেকে রক্ষা পাইনি। ধর্ষণ শেষে অভিযুক্ত নুর হোসেন আমাকে ছুরি দেখিয়ে এই ঘটনা কাউকে বলতে নিষেধ করেন। শুরুতে ভয়ের কারণে পরিবারের কাছে বিষয়টি গোপন রাখলেও কয়েক দিন পর চিরকুট লিখে মাকে ঘটনাটি জানাই।    

ভুক্তভোগীর মা বলেন, আমি ছোট একটা চাকরি করে সংসার চালাই। যে আমার এই এতিম সন্তানকে এভাবে নির্যাতন করেছে, আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ইমদাদুল হক জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীর মা বাদী হয়ে গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় সোমবার সকালে আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৬ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।