ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রিকশাচালকের সর্বস্ব কেড়ে নিতে বাধা দেওয়ায় এসআইকে আক্রমণ করে হিজড়ারা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৬ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২৪
রিকশাচালকের সর্বস্ব কেড়ে নিতে বাধা দেওয়ায় এসআইকে আক্রমণ করে হিজড়ারা

ঢাকা: রাজধানীর পরীবাগে একদল হিজড়ার হামলায় রমনা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোজাহিদ চোখ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।

 

পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত চার হিজড়াকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন- তানিয়া, তন্নী ওরফে তিথী, কেয়া ও সাথী ওরফে পাভেল।  

সোমবার (৩ জুন) নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, গত ৩০ মে রমনা থানার এসআই মোজাহিদসহ পুলিশের একটি দল পরীবাগ এলাকায় রাতের টহল ডিউটিতে ছিল। রাত ৩টার দিকে সংবাদ আসে, হিজড়াদের একটি দল এক রিকশাওয়ালাকে মারধর করে তার কাছ থেকে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।  

সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে। হিজড়াদের কবল থেকে রিকশাওয়ালাকে উদ্ধার করে। এক পর্যায়ে হিজড়ার দল পুলিশের ওপর হামলা করে। পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একটি ইট এসআই মোজাহিদের চোখে এসে লাগে।

এতে মুজাহিদের চশমার কাচ ভেদ করে চোখ মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পুরো চোখ থেঁতলে যায়। এতে তার ডান চোখ নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে গুরুতর আহত এসআই মোজাহিদ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে তার চিকিৎসায় বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

ডিসি আশরাফ হোসেন আরও বলেন, এসআই মোজাহিদের মতো একজন তরুণ কর্মকর্তা সরকারি কর্তব্য পালন করতে গিয়ে আহত হয়েছেন, বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন। তারা আশ্বস্ত করেছেন যে, আহত এসআই মোজাহিদের চোখের চিকিৎসার জন্য যা যা করণীয়, দেশে বা দেশের বাইরে, তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় ৩১ মে রমনা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর মগবাজার রেলগেট এলাকায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ঘটনায় সরাসরি জড়িত তানিয়া, তন্নী ওরফে তিথী ও কেয়াকে গ্রেপ্তার করে রমনা থানা পুলিশ।

রিমান্ড আবেদনসহ গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মগবাজার এলাকা থেকে হামলায় জড়িত অপর অভিযুক্ত সাথী ওরফে পাভেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

হিজড়াদের মধ্যে যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার আশরাফ হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২৪
এসজেএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।