সাভার (ঢাকা): সাভার আশুলিয়াসহ ঢাকার আশপাশের শিল্পকারখানাগুলো ইতোমধ্যে ঈদের ছুটি ঘোষণা করেছে। ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে কর্মস্থল ছাড়ছেন লাখ লাখ মানুষ।
অনেকে টিকিটি না পেয়ে রওনা হয়েছেন বিকল্প পরিবহনে। তবে সড়কে গণপরিবহন থাকলেও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বাড়ি পৌঁছানো নিয়ে। বাস থাকলেও ফাঁকা নেই কোনো আসন।
এতে করে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও বাসে উঠতে পারছেন না যাত্রীরা।
গণপরিবহন থাকলেও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাড়তি ভাড়া চাওয়ার অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।
শনিবার (১৫ জুন) দুপুর ২টার দিকে নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল, শ্রীপুর, জিরানী বাসস্ট্যান্ডগুলো ঘুরে দেখা গেছে ঘরমুখো মানুষের উপচে ড়া ভিড়। সড়কে যানবাহন থাকলেও মিলছে না কোনো বাসের সিট। তাছাড়া অধিকাংশ বাস বুকিং হয়ে যাওয়ায় সংকট তৈরি হয়েছে পরিবহনের।
ফলে বাধ্য হয়েই বিকল্প উপায়ে ভেঙে ভেঙে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। অটোরিকশা, সিএনজি পিকআপ ও ট্রাকে করে রওনা হয়েছেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। দিতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। তবে ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্নে বাড়ি পৌঁছাতে মহাসড়কের পয়েন্টে পয়েন্টে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে দ্বিগুণের বেশি ভাড়া হলেও গন্তব্যে পৌঁছতে চান যাত্রীরা।
দীর্ঘ সময় ধরে পরিবার নিয়ে অপেক্ষা করছেন পোশাকশ্রমিক রাতুল মিয়া। দুই বছরের সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে রংপুরের পীরগঞ্জ যাওয়ার জন্য দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন। বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড ঘুরে পরিবারের সদস্যদের মেলেনি টিকিট কিংবা গাড়ির আসন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাসস্ট্যান্ডে আসছি দুপুরে। এখন পর্যন্ত কোনো বাসে কোনো সিট পাইনি। বাড়তি ভাড়া দিতে রাজি আছি। এরপরও একটি সিটও মিলছে না।
মনির হোসেন নামের আরও এক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, সিট থাকলেও নেই বলছে অনেক কাউন্টার মাস্টার। অনেক সময় মিলছে আসন, অনেক ঘোরাঘুরির পর বাড়তি টাকা দিতে চাইলে অনেক সময় পর বিক্রি করছে টিকিট। আবার কোনো সময় মিলছে না কোনো কোনো বাসের টিকিট। তাই বাধ্য হয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে ট্রাকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাস কর্তৃপক্ষ কৃত্রিম পরিবহন সংকট তৈরি করে। তা না হলে এতো পরিবহন থাকলেও আসন পাওয়া যাবে না কেন?
শাহজাদপুর পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার শিফাত বলেন, গতকাল যে বাসগুলো ঢাকা ছাড়ে সেগুলো ফিরতে পারেনি। এছাড়া আগে থেকে অনেক গাড়ি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বুক করে রেখেছে। এতে যাত্রী প্রচুর থাকলেও কোনো সিট দেওয়া যাচ্ছে না।
ইচ্ছে করে সংকট তৈরি করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সড়কে প্রচুর গাড়ি আছে কিন্তু কোনো সিট দিতে পারছি না। এর কারণ আগে থেকেই সিট বুকিং করে রাখা। এখন তো নতুন করে সিট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
সাভার হাইওয়ে থানার পরিদর্শক (ওসি) আইয়ুব আলী বাংলানিউজকে বলেন, আগের থেকে দুপুরের পর মানুষের চাপ বেড়েছে। তাই হয়ত সংকট দেখা দিয়েছে। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাড়তি ভাড়া আদায়ের করার অভিযোগ আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৪
এসএএইচ