ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পদ্মার চরে আবারও দেখা মিলল ৩ রাসেলস ভাইপার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০১ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৪
পদ্মার চরে আবারও দেখা মিলল ৩ রাসেলস ভাইপার

নাটোর: জেলার লালপুরের পদ্মার চরে আরও তিনটি বিষধর রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপের দেখা মিলেছে। এসময় একটি সাপ পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন স্থানীয় কৃষকরা।

অপর দুইটি জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।  

রোববার (২৩ জুন) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মহরকয়া চরে ঘাস কাটতে গিয়ে রাসেলস ভাইপারের তিনটি বাচ্চা দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দা জিল্লুর রহমান।

কৃষক জিল্লুর জানান, সকালে তার এক নাতিসহ স্থানীয় লোকজন পদ্মার চরে ঘাস কাটতে যান। এসময় নদীর ধারে রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপের তিনটি বাচ্চা দেখতে পান তারা। এ অবস্থায় তার নাতি কাজল দুটি সাপ জীবিত অবস্থায় ধরে ফেলে এবং আরেকটি সাপ মেরে ফেলেন তারা। পরে জীবিত সাপ দুটি দেখতে ভিড় করেন এলাকাবাসী।

তিনি আরও জানান, রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এসে সাপটি নিয়ে যাবে।

স্থানীয়দের দাবি, পদ্মার চরে যেভাবে রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপের দেখা মিলেছে ফলে তাদের মধ্যে ভীতি কাজ করছে। চারিদিকে রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় চরের উৎপাদিত ফসল তুলতে ভয় পাচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা।

এর আগে শনিবার (২২ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের নসাড়া চরে বাচ্চাসহ চারটি রাসেলস ভাইপার সাপ পিটিয়ে মারেন কৃষকরা।  

ওই দিন সকাল থেকে ওই চরে ৭/৮ জন কৃষক বাদাম উঠানোর কাজ করছিলেন। এসময় তারা ওই বাদামের জমিতে একটি বড় ও তিনটি বাচ্চা সাপ দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে তারা সাপগুলো পিটিয়ে মেরে ফেলেন। এ নিয়ে পদ্মা নদীর চরাঞ্চল তীরবর্তী বসবাস করা মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম সাজজাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য রাসেলস ভাইপার আমাদের রক্ষা করতে হবে। এটা বিষাক্ত সাপ। এ নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৬
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।