কক্সবাজার: মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের জেরে মর্টার শেল ও ভারী গোলার বিস্ফোরণের শব্দে বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরে নাফ নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেল থেকে বুধআর সকাল পর্যন্ত বিস্ফোরণের শব্দ পান টেকনাফের সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।
সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা জানান, গত নভেম্বর থেকে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে দেশটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির লড়াই চলছে।
সম্প্রতি মংডু টাউনশিপের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে দুটি শহরসহ বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৪টি সীমান্তচৌকি, রাচিডং-বুচিডং টাউনশিপের বেশ কয়েকটি থানা এবং পুলিশ ফাঁড়ি দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি। এখন মংডু শহর দখলের জন্য লড়ছে তারা।
টেকনাফ সদরের পুরান পল্লান পাড়ার বাসিন্দা মানিক মিয়া বলেন, মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে গুলি-মর্টার শেলের বিস্ফোরণে কাঁপছে টেকনাফ।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ছিদ্দিক আহমদ বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত অনেক বেশি গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসে। এ কারণে প্রতিনিয়ত জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান জানান, মিয়ানমার রাখাইনের ঘটনায় এপারে সাধারণ মানুষ কষ্টে জীবন পার করছে। তারা ঠিকমত কাজেও যেতে পারছেন না।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, রাখাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় টেকনাফ সীমান্তের প্রতিটি গ্রামে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাখাইনের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৪
এসবি/আরএইচ