ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শাবিপ্রবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার অভিযোগ

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৪
শাবিপ্রবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার অভিযোগ

শাবিপ্রবি (সিলেট): শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

এতে তিনজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

রোববার (১৪ জুলাই) দিনগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহত শিক্ষার্থীরা হলেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন, রসায়ন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আসাদুল্লাহ গালিব ও গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হাফিজুল ইসলাম। তাদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ‘তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার’, ‘চাইতে গেলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’ সারা বাংলার মাটি, রাজাকারের ঘাঁটি, শাবিপ্রবির মাটি, রাজাকারের ঘাঁটি ইত্যাদি স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। পরে হল থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিলটি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে গেলে মাঝপথে শাহপরাণ হলের সামনে ছাত্রলীগের বাধার সম্মুখীন হয়।

এতে বিপরীত দিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খলিলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী শাহপরাণ হল থেকে একটি মিছিল বের করেন। তারা স্লোগান দেন ‘ তুমি কে? আমি কে? বাঙালি বাঙালি, আমার সোনার বাংলায় রাজাকারের ঠাঁই নাই’।

হামলায় আহত শিক্ষার্থী আসাদুল্লাহ আল গালিব অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল করছিলাম। এর মধ্যে আমরা খবর পাই, মিছিলে আসতে আগ্রহী হলের কিছু ভাইকে ছাত্রলীগ আসতে বাধা দিচ্ছে। তাই আবাসিক ছাত্র হল অভিমুখে গেলে পথিমধ্যে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের মিছিলে বাধা দেয়। একপর্যায়ে তারা হামলা করে। ’

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগের সভাপতি খলিলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। সবার কাছে ভিডিও ফুটেজ আছে, তা দেখলেই বুঝা যাবে। বরং আমরা সড়কের পাশে গিয়ে তাদের যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে তা স্বাভাবিক হয়ে যায়। কেউ আহত হয়েছে কিনা, শিক্ষার্থীরা এমন কোনো বিষয়ে জানাননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৪
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।