ঢাকা, সোমবার, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

দিনাজপুর শহর রণক্ষেত্র, আ.লীগের কার্যালয় ভাঙচুরসহ ৭ মোটরসাইকেলে আগুন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২৪
দিনাজপুর শহর রণক্ষেত্র, আ.লীগের কার্যালয় ভাঙচুরসহ ৭ মোটরসাইকেলে আগুন

দিনাজপুর: সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে দিনাজপুর শহর। এতে পুলিশ, সাংবাদিকসহ প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

 

আন্দোলনকারীরা দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ, শহর ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর করে। এসময় ৭টি মোটরসাইকেলের আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় তারা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে।  

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত দিনাজপুর শহরের বাসুনিয়াপট্টিস্থ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, কালিতলা থানা মোড়, প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক, মর্ডান মোড়, জেল রোড, জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে, লিলিমোড়, বাহাদুরবাজার ও পাহাড়পুর এলাকায় দফা দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থী, আওয়ামী লীগ ও পুলিশ।  

এর আগে সকাল ১১টায় দিনাজপুর জিলা স্কুলের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি শহরের হাসপাতাল মোড় থেকে লিলিমোড় হয়ে চারুবাবুর মোড়ের দিকে আসে।  

একই সময়ে পাশে বাসুনিয়াপট্টিতে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রতিবাদ সভা চলছিল। এতে সাধারণ ছাত্র ও আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। পরে তা পুরো শহরে ছড়িয়ে পড়ে।  

এসময় সাধারণ ছাত্ররা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বাসুনিয়াপট্টিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ছেড়ে দলীয় নেতাকর্মীরা চলে যায়। এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা জেলা, শহর ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করে ৭টি মোটরসাইকেলের অগ্নিসংযোগ করে। পুলিশ পুরো শহরে সংঘর্ষ এড়াতে টিয়ার শেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের অর্ধশত আহত হয়েছে।  

এদিকে দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মিহির কুমার রায় বলেন, সংঘর্ষে আহত ১৮ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে।  

দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মাসুদ রানা বলেন, এই হাসপাতালে সংঘর্ষে আহত ১৯ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।  

দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, আমাদের কাছে আগে থেকে তথ্য ছিল সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা ঢুকবে। আন্দোলনকারীরা অনেক বেশি থাকায় পুলিশের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। তারা দ্রুত আওয়ামী লীগের অফিস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভায়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।